এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "অল্প ব্যবধানে হেরেছি এমন সব আসনগুলিতেই পুনর্গণনার দাবিতে আমরা আদালতে আবেদন জানাব। ইলেকশন পিটিশন করব। এখনও সময় রয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখছেন। খুব তাড়াতাড়ি আবেদন জানানো হবে তাঁদের পক্ষ থেকে।"
বিজেপি সূত্রে দাবি, রাজ্যে অন্তত ৫০টি আসনে খুব কম ব্যবধানে হেরেছেন তারা। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বহু জায়গায় বেলা বাড়লে তৃণমূলের 'গুণ্ডা বাহিনী' গণনাকেন্দ্রের দখল নেয়। বের করে দেওয়া হয় বিজেপির এজেন্টদের। সেই সব আসনগুলিতে ফের গণনার আবেদন জানানোর প্রস্তুতি চলছে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে বিজেপি শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল শিবিরও। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বিজেপি নেতারা ২০০ আসন জিতবেন বলেছিলেন। এবার পুনর্গণনা হলে হারের ব্যবধান আরও বেড়ে না যায়।"
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর নন্দীগ্রামের ঘটনাক্রমকে উদাহরণ করে বাকি আসনেও পুনর্গণনার দাবি জানাতে থাকেন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকেরা। পুনর্গণনার দাবি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে বলেও দলীয় কর্মীদের আস্বস্থ করে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও এর মধ্যে তেমন কোনও আইনি পদক্ষেপ চোখে পড়েনি তাঁদের তরফে। তবে কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের দ্বারস্থ হতেই তাঁদের এই উদ্যোগ? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।