সূত্রের খবর, একুশে জুলাই খড়গপুর শহর থেকেই বড় কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে বার্তা দিতে পারেন দিলীপ। অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি পদে শমীক ভট্টাচার্যের অভিষেক পর্বে আমন্ত্রণ না পেলেও বর্তমান সভাপতির আমন্ত্রণে প্রায় দীর্ঘ এক বছর বাদে সল্টলেক দফতরে যাবেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সল্টলেক দফতরে বর্তমান এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মধ্যে কি আলোচনা হয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। মনে করা হচ্ছে শমীক আবহে দলের সঙ্গে দূরত্ব কমতে পারে বিজেপির সর্বাধিক সফল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তবে একুশে জুলাই খড়্গপুরে তিনি কী চমক রাখতে চলেছেন, সে নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু স্পষ্ট করেননি দিলীপ ঘোষ নিজেই। তবে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যে তার দূরত্ব কোনওভাবেই মেটার নয়, সেটা উত্তরকন্যা অভিযানের পরেও খড়্গপুরে দিলীপের কর্মসূচি প্রস্তুতি থেকেই স্পষ্ট।
advertisement
শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদারের জমানায় বঙ্গ বিজেপির এককালের দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ যে অনেকটাই ব্যাকফুটে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে বাংলায় বিজেপির উত্থানের নেপথ্যে যে নেতাই সেটা দলের একাংশ আজও অকপটে স্বীকার করেন। তাই খোদ আরএসএস নেতৃত্বকে সাফ জানিয়েছিলেন, নিজের মতো করেই কাজ করবেন দিলীপ ঘোষ । অনুমতিও মিলেছিল। কিন্তু তারপরও বঙ্গ বিজেপির কোনও সভা, সমিতিতে ডাক পাননি দিলীপ। মোদি-শাহ শহরে এসেছেন, সভা করেছেন, কিন্তু সেখানেও ‘ব্রাত্য’ই ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক। এমনকি শমীক ভট্টাচার্যের রাজ্য সভাপতি পদে বরণ অনুষ্ঠানেও ডাক মেলেনি। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে তাঁর বিজেপি ত্যাগের জল্পনা। কখনও কানাঘুষো হয়েছে, বিজেপি ছেড়ে নতুন দল গড়ছেন দিলীপ। আবার দিঘার জগন্নাথধাম দর্শনের পর থেকে কারও কারও দাবি, পদ্ম ছেড়ে এবার ঘাসফুলের পথে তিনি। বিজেপিতেই বাড়তে পারে দিলীপের গুরুত্ব। তবে এমনও শোনা যাচ্ছে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর থেকেই আদি নেতাদের গুরুত্ব বেড়েছে। একুশে জুলাইয়েই নব্যদের ‘চক্রান্ত’কে পিছনে ফেলে শমীকের হাত ফের দিলীপের বিজেপির মূলস্রোতে ফিরতে পারেন বলেও মনে করছে ওয়াকিবহলমহল।
