প্রসঙ্গ: রাতে তুলে দেওয়া হল টেট আন্দোলনকারীদের
দিলীপ ঘোষ: এ সরকার কাজও করবে না। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। আমরা যখন রাস্তায় নামি সঙ্গেসঙ্গে পুলিশ চলে আসছে, গ্রেফতার করছে, সরিয়ে দিচ্ছে লাঠিপেটা করছে। যারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন, চাকরির জন্য এত দিন আবেদন নিবেদন করেছেন এখন তারা অনশন করছেন তিন দিন ধরে রাস্তায় ছিলেন, তাদের নির্মম ভাবে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। এই সরকার নিজে গণতন্ত্রের কথা বলে আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।
advertisement
প্রসঙ্গ: আন্দোলন মঞ্চে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি
দিলীপ ঘোষ: তারা কোনও রাজনৈতিক দলকে ডাকেননি। নিজের অধিকারের জন্য অন্দোলন করছে, যেহেতু মানবিক ব্যাপার তাই আমাদের নেতারা গেছেন, অন্য পার্টির নেতারাও এসেছেন। এর মধ্যে রাজনীতির ব্যাপার নেই। যে পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন তারা যে ভাবে জীবনকে বাজি রেখেছেন সব পার্টির লোকেরা সমর্থন করতে এসেছেন। সকলের করা উচিত।
আরও পড়ুন: ইতিউতি পড়ে পোস্টার, স্বাভাবিক যান চলাচল, মধ্যরাতের অপারেশনের পর করুণাময়ীতে দীর্ঘশ্বাস
প্রসঙ্গ: আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউ
দিলীপ ঘোষ: ইন্টারভিউ পরীক্ষা বহুবার হয়েছে। কিন্তু রেজাল্ট আসেনি। নিয়োগ হওয়া চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমার হাতে এত লক্ষ চাকরি আছে, কিন্তু তার জন্য পরীক্ষা হয় না, পরীক্ষা হলে রেজাল্ট হয় না, নিয়োগ হয় না। নিয়োগপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। কেন চাকরি দিচ্ছেন না? সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করতে ইন্টারভিউ হচ্ছে। ইন্টারভিউ হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে খালি পদে নিয়োগ হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বাসের নীচে শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের, মধ্যরাতে করুণ দৃশ্য করুণাময়ীতে
প্রসঙ্গ: প্রাইমারি নিয়োগের আবেদন শুরু
দিলীপ ঘোষ: ঠিক আছে। আমরা জানি এগুলো লোক দেখানোর ব্যাপার। কিন্তু তার পরিণাম কী হচ্ছে? সেটা হওয়া চায়। যে স্কুলে শিক্ষক নেই বাচ্চারা যায় ঘুরে আসে সেখানে নিয়োগ হওয়া উচিত। শুধু স্কুল নয় সরকারি সমস্ত পদে কর্মচারীরা অবসর হচ্ছে, কিন্তু নতুন করে নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে অফিসে লোক নেই। তাদের দেনা পাওনা তৈরি হয়নি। আবার এদের নিয়ে কোথাও দুয়ারে সরকারে কাজে লাগানো হচ্ছে। দফতরে লোক নেই, খাতা তৈরি হচ্ছে না। কবে পেনশন পাবেন ঠিক নেই।
প্রসঙ্গ: টেট আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী দল পথে নামছে
দিলীপ ঘোষ: দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানুষের প্রতি অত্যাচার চলছে, অপশাসন চলছে। তার বিরুদ্ধে সমস্ত দলের প্রতিবাদ করা উচিত।
প্রসঙ্গ: এই আন্দোলনকে সামনে রেখে বিরোধীরা কি উজ্জীবিত হচ্ছে
দিলীপ ঘোষ: আন্দোলন চলবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। এমন কি তাদের পার্টির মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে কেউ কাওকে সহ্য করতে পারছে না। অসহিষ্ণু পরিবেশ কেন তৈরি হচ্ছে? সরকার বিফল হলে এমন পরিবেশ তৈরি হয়।