উল্লেখ্য, দিলীপের দলিলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপি সাংসদের গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতার গ্রেফতারির দাবি তোলেন। আর বুধবার আসরে নামেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে মমতা বলেন, ''অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা পেয়েছে, তুমি গ্রেফতার করেছ৷ আপনার নেতার দলিল পাওয়া যাচ্ছে অভিযুক্তর বাড়ি থেকে, তাঁকে কেন আইনত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।''
advertisement
আরও পড়ুন: শাসক বিরোধী 'কটুকথা' তরজায় ঝড়ের আশঙ্কা বিধানসভায়! 'কাউকে ছাড় নয়', আগাম বার্তা স্পিকারের!
যদিও তার আগেই দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কারও বাপের টাকায় ফ্ল্যাট কিনিনি, তদন্ত করুক CID। তদন্ত শেষ হোক। তারপর তো গ্রেফতারির প্রশ্ন। আমি তো প্রকাশ্যে বলছি, প্রসন্নর বাড়িতে আমি নিজে দলিলের কপি রেখেছি। কারও বাপের টাকায় ফ্ল্যাট কিনিনি। ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি।'' এরপর ফের বৃহস্পতিবার চ্যালেঞ্জের সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: কে গুরুপদ মাঝি? শুক্রবার 'বোমা' ফাটানোর প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর! তোলপাড় বাংলা
অপরদিকে, মিনখাঁয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''তৃণমূল কুটির শিল্প তৈরি করেছে গ্রামে গঞ্জে। বোমা বাড়ি বাড়িতে তৈরি হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তুপের উপরে বসে আছে। আমরা বারবার বলছি। যেভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা, দখল করতে হবে পঞ্চায়েত ইলেকশন। রক্তাক্ত করার জন্য চক্রান্ত চলছে। পুলিশ সব জানে। বোমা ফেটে যাচ্ছে বলে পাবলিক জানতে পারছে, না হলে কত বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তার যে কী ভয়ঙ্কর পরিণাম হবে! এর থেকে বোঝা যাচ্ছে সরকার যদি না চায় এগুলো বন্ধ হবে না। সরকার চাইছে আরও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে গন্ডগোল হোক। তাহলে তারা পঞ্চায়েত জিততে পারবে।''