হুগলির গুড়াপে দুর্গা প্রতিমার হাতে তৃণমূলের পতাকা, তৃণমূল স্তরের আবেগের বহিঃপ্রকাশ কুণাল ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, ''বই প্রকাশ যেদিন হবে, গাছে বেঁধে পেটাচ্ছে, সেরকম হবে সবে শুরু হয়েছে। কতদূর যেতে হয় ওরা জানেন না, অসামাজিক চোর-ডাকাত দিয়ে পার্টি যদি চলে। এরকম হয় পুজোকে অপবিত্র করা হচ্ছে, মন্ত্রকে অপবিত্র করা হচ্ছে, পিতৃপক্ষে পূজা উদ্বোধন করা হচ্ছে, অসামাজিক যত লোক তারা সেই পার্টির মধ্যে আছে।''
advertisement
আরও পড়ুন: সপ্তমীতে আরও দাপট বৃষ্টির, ভেস্তে যাবে পুজো? আশঙ্কার পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
ষষ্ঠীতেও আন্দোলনরত এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলনে সেই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, যে দাবি নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করছে তাদের ১০০ ভাগ অধিকার আছে আন্দোলন করার। সেই দাবি মেটানো সরকারের দায়িত্ব। আমার বক্তব্য হচ্ছে পুজো এসে গেছে, আন্দোলন চলতে থাকবে বাংলায়। সারা বছর আন্দোলন হয় এই সরকারের বিরুদ্ধে। সবাই আন্দোলন করছে। পুজোর কটা দিন বাড়িতে গিয়ে পুজোতে সময় দিন। কারণ আমরা জানি যে রাজত্বে বাস করছি সেখানে অধিকার ন্যায় পাওয়াটা মুশকিল। পরে আবার জোরদার আন্দোলন হবে।''
আরও পড়ুন: পরের বছর পুজোয় থাকবে শীত শীত ভাব! সপ্তমীতে জেনে নিন ২০২৩-এর পুজোর নির্ঘন্ট
মুখ্যমন্ত্রী যে পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে নাক সিঁটকে ছিলেন, সেই পুজোই পরিবেশবান্ধব পুজো বলে চিহ্নিত হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল সরকার এরকমই হয়, সরকার নিজে পয়সা দিয়ে পুরস্কার নেয়। আর সরকারের যারা নিজের লোক তাদেরকে পুরস্কার দিতে হবে। সেই যতই ঘাটিয়া পুজো হোক, সব ব্যাপার স্যাপার উল্টো চলছে।
কানপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই ধরনের অসুরক্ষিতভাবে যাতায়াত করাটা অবশ্যই প্রশাসনের দেখা উচিত। পুলিশে দেখা উচিত। আনন্দের সময় এতগুলো প্রাণ গেল এই ঘটনা শুনে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এগুলো এড়ানো যায় যদি একটু কড়াকড়ি করা হয়।'' নাকতলা উদয়ন সংঘ এবার কোন তালিকাতে নেই সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করতে যাননি। যদি সত্যি সত্যি সিবিআই কাজ শুরু করে, অনেক পুজো এরকম ব্রাত্য হয়ে যাবে।''