দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লকেটের বিষোদগারের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তার ভুল-ত্রুটি ধরে, তাহলে তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেউ যদি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়, সেটা তো আত্মবিশ্লেষণ নয়, সেটা তো পরচর্চা হয়ে গেল। যারা ময়দানে নেই তারা যদি এই ধরনের অভিযোগ করে, তার কোন গুরুত্ব নেই।''
advertisement
কী বলেছিলেন লকেট? পুরভোটে বিজেপির ব্যর্থতা নিয়ে হুগলির সাংসদের সাফ কথা ছিল, দলের এবার ভুল স্বীকার করে নিতে হবে। তাঁর কথায়, ''দায় চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না। সন্ত্রাস করে হোক বা যাইহোক, রায় যা হয়েছে, তা মাথা পেতে নিতে হবে। ভুল স্বীকার করে মানুষের কাছে যেতে হবে।'' আর লকেটের এই মন্তব্যের পরই এবার আসরে নামলেন দিলীপ ঘোষও।
আরও পড়ুন: চার-পাঁচদিনের মধ্যেই বড় বদল, কেমন থাকবে আবহাওয়া? ভোগান্তি কি বাড়তে চলেছে?
সম্প্রতি রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ফলপ্রকাশ হয়েছে। কোন পুরসভা দখল করা তো দূর, ভোট শতাংশের নিরিখে বামেদেরও পিছনে চলে গিয়েছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বটে। তবে, তাতে দলের ব্যর্থতা ঢাকা দেওয়া যাচ্ছে না। লকেটের গলাতেও সেই একই সুর। এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইট করে ‘আত্মসমীক্ষা’ শব্দটি লেখেন। তারপর সরাসরি আক্রমণেই চলে যান।
আরও পড়ুন: 'দায় চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না', জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়!
যদিও দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নিজের মতো করে বক্তব্য রাখছেন, যারা কোনদিন বাড়ির বাইরে বেরোইনি, তারা বড় বড় মন্তব্য করছে। কী কারনে পুরভোটে পরাজয়, তার জন্যই তো চিন্তন বৈঠকে বসা হয়েছে। সাংগঠনিক দুর্বলতাই একমাত্র কারণ, তা নয়। সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকলে বৈঠকে আসছেন কী করে নেতৃত্ব? সন্ত্রাস, হিংসা, লুটও বিজেপির পরাজয়ের কারণ।