তিনি আরও বলেন, ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে ক’জন দোষী সাজা পেয়েছে? যাদের পদত্যাগ চেয়েছেন ওনারা, তারা প্রমোশন পেয়েছে। পেছন থেকে এই আন্দোলনকে যারা চালাচ্ছে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচানোর জন্য এসব নাটক করছেন না তো? রাত জাগো, চলো রাতের বেলা একটু বাতি জ্বালিয়ে ছবি তুলে চলে আসি, এইজন্য কি দেড় মাস ধরে বাংলার মানুষ কষ্ট পেল?
advertisement
দিলীপ ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল হাসপাতালগুলোতে, তার জবাব দিতে হবে না? এই আন্দোলন যে করা হল মানুষকে ক্ষেপিয়ে তার কি লাভ হল? আপনারা সরকারের বিরুদ্ধে একটা কথা বলছেন না। বিনীত গোয়েন কাল থাকবে না, চলে যাবে। যারা গুলি চালিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীদের তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কার দিয়েছেন, মন্ত্রী বানিয়েছেন, এমএলএ বানিয়েছেন। এরাও থাকবে সেরকম ক’দিন পরে। সন্দীপ ঘোষ ছাড়া পেয়ে যাবে অনুব্রতর মতো। তারপর বিনীত গোয়েল চলে যাবেন, দিব্যি খাবেন আর ঘুরে বেড়াবেন। সরকারের কি কোনও দোষ নেই? স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ হবে না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ মন্ত্রী তার কোনও সাজা হবে না?
তিনি বলেন, কেন মানুষকে ধোকা দিয়ে এভাবে আন্দোলনের নামে রাস্তায় নামানো হচ্ছে? পুজো বন্ধ করবে মানুষকে আহ্বান করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ কি পেল এই আন্দোলন থেকে? পোস্টমর্টেম করতে হবে। এত বড় আন্দোলন ,এত বড় শো হল, রোজ একবার রাস্তায় এসে নাটক করা, তালি দেওয়া, রেজাল্টটা কি হল? এটা কি সোপ অপেরা হচ্ছে কি? রেজাল্ট চাই এবং এর পরিবর্তন চাই। কেউ কি এর গ্যারান্টি দিতে পারবেন ওই ডাক্তাররা, রাত্রিবেলা আবার কোনও মহিলা ডাক্তারের ওপর এরকম হবে না? হাসপাতালে দাদাগিরি চলছে, লুট চলছে, গুন্ডাগিরি চলছে, ভয়ের পরিবেশ চলছে। বেড পেতে, ওষুধ পেতে, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে টাকা দিতে হচ্ছে। এর কি কোনও পরিবর্তন হবে? এই প্রশ্ন আজকে সাধারণ মানুষ তুলছে।