অভিষেকের নব জোয়ারে আগামিকাল শালবনিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহল কি অভিষেক একা সামলাতে পারছেন না?
কতদিন ওকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ওকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন। উনি ওকে পাঠিয়েই বুঝে গেছেন কতটা দম আছে। পুলিশ, এনভিএফ, সিভিক পুলিশ এইসব দিয়ে ভিড় করাতে হচ্ছে। পার্টির লোক কিছু নেই। কিছু কাটমানি খোর গুন্ডা, বদমাইশ আছে। তাও কেউ রাস্তা আটকাচ্ছে, কেউ চোর বলছে। এরকম জননেতা বাড়িতে তৈরি। এদের সমাজে আর কিস্যু হবে না।
advertisement
মালদহে শুভেন্দুর সভার অনুমতি খারিজ হাইকোর্টের
এর আগেও ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে আবেদন করে আমরা সভা করেছি। কোর্টে গিয়েছি। আমাদের বারবার কোর্টে যেতে হচ্ছে। কোর্ট যা মনে করেছেন, আদেশ দিয়েছেন। আমরা আগেও কোর্টের আদেশ মেনেছি। এখনও মানব।
আরও পড়ুন: আপাতত জেলেই জীবন, তুমুল খারাপ খবর অনুব্রতর জন্য! ফের তোলপাড় বাংলা
শীতলকুচিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি
যখন বিএসএফ গরু পাচারকারীকে গুলি চালিয়েছিল, তখন অভিষেক গিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। মানুষ যখন পুলিশকে তাড়া করছে, যখন জনরোষ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ছে, যখন পুলিশে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে, তার মানে প্রশাসন, সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর ওপর মানুষের আস্থা নেই। অপরাধীদের যদি পুলিশ ধরতে না পারে, তাহলে এটাই ঘটে।
১৯ টি রাজনৈতিক দল রবিবার সেন্ট্রাল ভিস্তা উদ্বোধন বয়কট করছে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি রাষ্ট্রপতি ভোটে অংশ নিয়েছিলেন? কোন মুখে দ্বিচারিতা করেন? তৃণমূল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বয়কট করেছিল। তখন মনে পড়েনি, এই রাষ্ট্রপতি আদিবাসী সমাজের? এই দোখলাদের মা বাপের ঠিক নেই। এদের যেন সমাজ মনে রাখে। আদিবাদীদের পাশে বিজেপি আছে। তাই সারা দেশে এস সি, এস টি সিট সবথেকে বেশি বিজেপি জিতেছে। মোদী তাদের বাড়িতে লক দাউনে চাল দিয়েছেন। পাকা বাড়ি দিয়েছেন। কর্মসংস্থান দিয়েছেন, কৃষি অর্থ দিয়েছেন। তৃণমূল এতদিন আদিবাসী খেপিয়ে ভোট নিয়েছে। আজ কুড়মি ওদের বিরুদ্ধে। আদিবাসী ওদের বিরুদ্ধে। মতুয়া ওদের বিরুদ্ধে। রাজবংশী ওদের বিরুদ্ধে। ১৯টা রাজনৈতিক দলের কি শক্তি আছে? কটা সাংসদ আছে? অনেকের সাংসদ নেই। যে দলগুলি সঙ্কটে ভুগছে, পার্লামেন্টে ঢোকার লোক থাকবে না আগামিদিনে, তারা ওদের সঙ্গে নিয়ে বলছে ১৯ টা দল। সাধারণ মানুষ গর্বিত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে দেশ নতুন পার্লামেন্ট ভবন পাচ্ছে। যেটা অনেক আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। আর রাষ্ট্রপতিকে কংগ্রেস কোনোদিনই সম্মান দেয়নি।
আরও পড়ুন: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতার শেরিফ করার দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের
অবশেষে কাল খাদিকুল যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেড় সপ্তাহ পরে
উনি দেখে নিচ্ছেন, বিক্ষোভ হবে কিনা। ওনাকে কেউ চোর চোর বলবে কিনা। উনি তো চোরের রানি। হয়ত কাল পুলিশ দিয়ে ছেয়ে দেবেন। কাউকে কাছে আসতে দেবেন না। হেলিকপ্টার থেকে নেমে স্পটে চলে যাবেন। যেমন বন্যা দেখতে যান। কিন্তু গ্রামে ঢোকেন না। এই ধরনের একটা হাওয়াই সফর করবেন।
অরূপ রায় বনাম মনোজ তিওয়ারি
কার লাগেনি? পার্টির মধ্যে ঘামাসান লড়াই চলছে। যদুবংশ ধংস হয়ে যাচ্ছে। মুশল পর্ব শুরু হয়ে গেছে। এসব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো বক্তব্য থাকে না। উনি এখন ভাইপোকে বাঁচাতে ব্যস্ত। আমার মনে হয় সেটাও পারবেন না। আজ যদি মন্ত্রীদের মধ্যে এরকম চুলোচুলি হয়, তাহলে সাধারণ কর্মী, যারা পাড়ার গুন্ডা বা কাটমানিখোর, তারা তো মারামারি করবেই। এর ফল সাধারণ মানুষ ভুগছে।
পশ্চিমবঙ্গ যদি আফগানিস্তান হয়, তাহলে উত্তরপ্রদেশ সিরিয়া। ববি হাকিমের এই মন্তব্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”ববিকে বলব, খিদিরপুর টু কালীঘাট না করে, একটু বাংলাটা ঘুরে দেখুন। কেন আপনার খোকাবাবুকে চোর চোর শুনতে হচ্ছে? ঘেরাটোপে বসে গল্প বলবেন না। বাংলা আজ সিরিয়া এবং আফগানিস্তান হয়ে গেছে। আপনি বাঁচাতে পারবেন না। সেই হিম্মত নেই।”