একুশের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদানের জল্পনায় জল ঢেলে গত মঙ্গলবার সল্টলেকের বিজেপির সল্টলেকের অফিসে গিয়ে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন দিলীপ৷ জানিয়েছিলেন, যাঁরা গল্প বানানোর তাঁরা বানাবেন, তিনি বিজেপিতে ছিলেন, বিজেপিতেই থাকবেন৷ এরপরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে সস্ত্রীক দিল্লি রওনা দেন তিনি৷ উদ্দেশ্য বিজেপির ‘বড় নেতার’ সঙ্গে সাক্ষাৎ৷ তা নিয়েও শুরু হয় জল্পনা৷ অনেকেই মনে করেন বাংলার বাইরে হয়ত বড় কোনও দায়িত্বে দেখা যাবে দিলীপকে৷ সেই জন্যেই ‘ডাক’৷
advertisement
আরও পড়ুন: ফের বিধায়ক হতে চান দিলীপ, ২০২৬-এ পছন্দ কোন আসন? কপাল পুড়তে পারে বিজেপির তারকা বিধায়কের
এবার দিল্লিতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও আরও একবার বিতর্ক উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ৷ গত বুধবার দলের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরনোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে দেওয়ার পরে দল অস্বস্তিতে পড়েছিল?’’
উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি তো সবার প্রশংসা করি৷ দেখেছেন আমায় কখনও বিনা কারণে কারও বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে? কারও সাথে আমার শত্রুতা নেই, প্রশংসা করব না কেন?..প্রশংসা করিনি, আমি বলেছি যে, যারা এত বড় বড় কথা বলছে তাদের নামেও তো কেস আছে, আক যাকে নিয়ে এত চর্চা, তার নামে কেস নেই৷ যার নামে কেস নেই, তার সাথে বসলে আমি খারাপ হয়ে যাব?’’ এরপরেই দিলীপ জানান, দিঘায় মমতার সঙ্গে দেখা করায় দলের কর্মীরা অস্বস্তিতে ছিলেন না, ‘কয়েকজন’ অস্বস্তিতে ছিলেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কেন ‘গুরুত্ব’ দিয়েছেন ভেবে তাঁরা ‘কষ্ট’ পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন দিলীপ৷
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক সেখানে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে প্রসাদও খেয়েছিলেন৷ সেই পর্বের পরেই বঙ্গ বিজেপির একাংশের রোষানলে পড়েন দিলীপ৷
দিলীপের এমন মন্তব্য ঘিরে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির তরফে৷