রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হবে? রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠক। বৈঠকে থাকবেন ইসকনের প্রতিনিধিরাও। বৈঠকে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক ডাকা হল বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ১০৮টি জলে স্নান প্রভুর, প্রথমেই বেরবে সুদর্শন চক্র…তারপর একে একে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা!
advertisement
অন্যদিকে, আজ, স্নানযাত্রার পুণ্য তিথিতে ঐতিহ্য মেনে পালিত হচ্ছে প্রভু জগন্নাথের স্নানযাত্রা৷ স্নানযাত্রার আগে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার সারা শরীরে লাগানো হবে তুলসী। প্রথমে বের করা হবে সুদর্শন চক্র এবং পরে বলরাম, সুভদ্রা মহারানী এবং সর্বশেষে প্রভু জগন্নাথকে। মন্দিরের বামদিকে ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে স্নান মণ্ডপ।
সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও গাছ-গাছালি দিয়ে অপরূপভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দূর থেকেও দর্শনার্থীরা জগন্নাথের স্নানযাত্রা দর্শন করতে পারবেন। স্নান মন্ডপে এগারোটা নাগাদ শুরু হবে স্নানযাত্রা।
১০৮টি তীর্থক্ষেত্রের জলের সঙ্গে মেশানো হবে কাঁচা দুধ, আতর ও চন্দন। তিনটি বিগ্রহেকে সিল্কের কাপড় দিয়ে আবৃত করে চলবে স্নানের পর্ব। সঙ্গে চলবে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ এবং কীর্তন ও শঙ্খধ্বনি। স্নানের পর ১০৮ টি তুলসী পাতা জগন্নাথের চরণে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে টাকা ঢোকাচ্ছে তুরস্ক! কাদের দিচ্ছে জানেন? এ তো পাকিস্তানের চেয়েও এক কাঠি বাড়া
এরপর তাদের পুনরায় পাহাণ্ডি বিজয়ের মাধ্যমে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জগন্নাথ দেব ও বলরামকে গজবেশ ও সুভদ্রা দেবীকে পদ্মবেশে সজ্জিত করা হবে। অর্পণ করা হবে গোলাপ ফুল সহ পাঁচ রকমের ফল। গজবেশ ও পদ্মবেশের পোশাক ইতিমধ্যে ইসকনের এক ভক্ত তৈরি করে জগন্নাথ মন্দিরে এনেছেন।
এদিনই শেষ জগন্নাথ দর্শন করা যাবে। এরপর ১৫ দিন পর ফের জগন্নাথ সকলের সামনে আসবেন। ওই সময় চলবে অনসর পর্ব। আয়ুর্বেদিক পাঁচনে জগন্নাথ সুস্থ হয়ে আগামী ২৬ তারিখ দেখা দেবেন সকলকে।
ইসকনের সহ সভাপতি রাধা রমণ দাস জানিয়েছেন, সমস্ত আচার মেনেই আজ দীঘার মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা করানো হবে। বিশেষ পুরোহিত রয়েছেন। সকলে মিলে সেই কাজ সম্পন্ন করবেন।