অভিযোগ বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে। রিজেন্ট পার্ক থানা অভিযোগ পেয়েও নাকি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ২৬ অগাস্ট পরিবারের লোকজন আবার রিজেন্ট পার্ক থানায় গিয়ে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। ২৭ অগাস্ট পুলিশ নির্যাতিত ছেলেদের হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করায়।
এই অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্বজিতের বাবা, বিভাস পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুকেশ কুমার মহান্তি এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।’তবে ঘটনা পক্ষান্তরে শিকার করে নেন বিভাস বাবু।’ ওই দিন রুমে ছেলেদের সঙ্গে মজা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল আমার ছেলে।’ তবে ঘটনা ঘটার পর ওই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রধান মুকেশ বাবু সোশ্যাল মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করে দেন। তবে সব জেনেও তিনি কিন্তু তিনমাস আইনের দ্বারস্থ হননি মুকেশ।
advertisement
আরও পড়ুন: পাখির চোখ চব্বিশ, এলাকার নেতা কে? ‘অপরিচিত’ মুখ চেনাতে দুর্গাপুজোয় বড় পরিকল্পনা বঙ্গ বিজেপির
বিভাস বাবুর দাবি, ‘১৫ অগাস্ট আমার ছেলে বিশ্বজিৎ নতুন একটি ক্যারাটে স্কুল খোলে। সেই রাগেই ২১ অগাস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মুকেশ মহান্তি ‘। এই বিষয় নিয়ে বিশ্বজিতের আইনজীবী দীপঙ্কর বসু বলেন, এর আগে বিভাস বাবু তাঁর ছেলের নামে সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগে ১৯ অগাস্ট লালবাজার সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকেশের বিরুদ্ধে। সেদিনই তিনি রিজেন্ট পার্কে একই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পাখির চোখ চব্বিশ, এলাকার নেতা কে? ‘অপরিচিত’ মুখ চেনাতে দুর্গাপুজোয় বড় পরিকল্পনা বঙ্গ বিজেপির
তবে ছেলেকে বাঁচাতে মরিয়া বিশ্বজিতের বাবা বিভাস বাবু। নির্যাতিত ছাত্রদের বাবা মা’রা বলতে গিয়ে রীতিমতো কেঁদে ফেলেন। তারা বলেন ৭ বছরের ছেলেকেও পর্যন্ত উলঙ্গ করে অত্যাচার করেছিল বিশ্বজিৎ। তবে ২ জুন থেকে অগাস্টের ২১ তারিখ পর্যন্ত কেন তারা চুপ থাকলেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে ,তারা ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রধান মুকেশ কুমার মহান্তির দিকে দেখিয়ে দেন।