উনিশের লোকসভায় হারানো জমি ফিরে পেতে তৃণমূল কংগ্রেসের তুরুপের তাস 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কর্মসূচির প্রচার শুরু করল তৃণমূল। বাংলার মাটিতে পদ্মের চাষ ঠেকাতে, জেলায় জেলায় এই কর্মসূচির প্রচারে তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। শুক্রবার কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভায় 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির প্রচারে একাধিক সভা করেন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু বিজেপিকে ঠেকাতে যে কর্মসূচির জন্ম, সেই বিজেপিই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রচারে। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল শিবিরের। এমনকি গেরুয়াপন্থীদের হুমকির জেরে এদিন কোচবিহারের সভাগুলিতে ভিড়ের বহরও কম ছিল বলে দাবি রাজ্যের শাসক দলের।
advertisement
দলের কর্মী-সমর্থকরা যখন গেরুয়া জুজুতে কাঁটা, তখন পালটা হুমকির পথে তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।শুধু বিজেপির হুমকিই নয়, তৃণমূলের দিদিকে বলো প্রচারসূচিতে বাধ সাধল দলের গোষ্ঠীকোন্দলও। এদিন নাটাবাড়ির অঞ্চলপাড়ায়, নেতার সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের একদল কর্মী-সমর্থক। যদিও এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।
কোচবিহারের পাশাপাশি এদিন নদিয়ার চাকদহে দিদিকে বলো কর্মসূচির প্রচার করেন স্থানীয় বিধায়ক রত্না ঘোষকর। চাকদহের কালীবাজার, মণ্ডলহাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার করেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে দিদিকে বলো কর্মসূচি প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মঙ্গলকোটের গীধগ্রামের পাড়ায় পাড়ায় দিদির নম্বর লেখা কার্ড এলাকাবাসীর মধ্যে বিলি করেন তিনি।
হাওড়ার বাগনানে দলের পুরনো কর্মী-সমর্থক ও বিশিষ্টদের কাছে গিয়ে জনসংযোগ সারেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ ঘোষ। দিদিকে বলো কর্মসূচি ঠিক কী, তাও বোঝান মানুষকে।