TRENDING:

‘দিব্যাংশুর মধ্যেই বেঁচে থাকবে ঋষভ, ওরা যে খুব ভাল বন্ধু ছিল’, কান্না চেপে বললেন বাবা

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ABHIJIT CHANDA
advertisement

#কলকাতা: ৮ দিনের মরণপণ লড়াইয়ে শেষে শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় সাত বছরের ছোট্ট ঋষভ সিংয়ের। হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই স্কুলছাত্র ঋষভ সিং এবং দিব্যাংশু ভগতকে ১৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। দু'জনকেই রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। স্টেজ ওয়ান কোমায় চলে গিয়েছিল দু’জনেই। তবে ভর্তি হওয়ার দ্বিতীয় দিন থেকেই নার্সারি ছাত্র দিব‍্যাংশু চিকিৎসায় সাড়া দিতে থাকে। অন্যদিকে ঋষভের শারীরিক অবস্থা অতি আশঙ্কাজনক ছিল। একমো যন্ত্রের সাহায্যে তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো এবং দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড বার করে কৃত্রিম ফুসফুসের সাহায্যে বেঁচে ছিল ঋষভ। এসএসকেএম হাসপাতালের ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড প্রাণপন লড়াই চালিয়ে যান দুই স্কুলছাত্রকে বাঁচানোর জন্য। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শনিবার ভোরেই ঋষভের মৃত্যু হয়।

advertisement

অন্যদিকে দিব‍্যাংশুর উল্লেখযোগ্যভাবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই। শুক্রবার ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয় তাকে। তার আগেই তার ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমিয়ে দেখা হচ্ছিল, যে সে কতটা সাড়া দিতে পারে। শনিবার একদিকে যখন ঋষভ মারা গিয়েছিল, অন্যদিকে দিব‍্যাংশু এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রাইলস টিউবের সাহায্যে তরল খাবার খায়। এমনকি শনিবার সন্ধ্যায় সে প্রথম কথাও বলে। মা, বাবাসহ আত্মীয়-পরিজনদের সে চিনতেও পারে।রবিবার সকাল থেকেই সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা দিব্যাংশু ভগতকে পরীক্ষা করেন। এরপরই তাকে বিকেলে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। এমনকি তার অক্সিজেন সাপোর্টও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অক্সিজেন ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছে ছোট্ট দিব্যাংশু।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

চিকিৎসকরা আশাবাদী, আর কয়েকদিন পর্যবেক্ষণের পর দিব‍্যাংশু  সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে। ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই দিব্যাংশুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। দিব্যাংশুর ফুসফুসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। পাশাপাশি দিনরাত এক করে ২৪ ঘন্টা এসএসকেএম হাসপাতালে থাকা দিব্যাংশুর বাবা গোপিচাঁদ ভগৎ কান্না চেপে ধরে বলেই ফেললেন, ঋষভ চলে গেলে কি হবে, দিব‍্যাংশুর মধ্যেই ও বেঁচে থাকবে। ওরা খুব ভালো বন্ধু ছিল। দিব‍্যাংশুর মা রিমা ভগৎ জানান, আমার প্রার্থনা বৃথা যায়নি। ঋষভ চলে যাওয়ায় খুব দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু দিব্যাংশু সুস্থ হতে মনটা অনেক হালকা লাগছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
‘দিব্যাংশুর মধ্যেই বেঁচে থাকবে ঋষভ, ওরা যে খুব ভাল বন্ধু ছিল’, কান্না চেপে বললেন বাবা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল