আগে থেকেই পুলিশের খাতায় নাম ছিল তার। ছিল একাধিক অভিযোগ। তা সত্ত্বেও দিবাকর দে-কে আটকাতে পারল না পুলিশ। রুখতে পারল না বেলেঘাটার কালীতারা বোস লেনে গুলি চালানোর ঘটনা। তদন্তে নেমে এবার সর্ষের মধ্যেই ভূত দেখছে পুলিশ।
দিবাকরকে একাধিকবার গ্রেফতার করতে গেলেও লাভ হয়নি কারণ পুলিশের মধ্যেই সোর্স দিবাকরের ৷ পুলিশের একাংশের মদতে এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে সে ৷ এই সোর্সের সাহায্যেই ঝুমকির মোবাইলের কল ডিটেলস নিয়মিত পৌঁছে যেত দিবাকরের কাছে ৷ পুলিশের একাংশের মদতেই এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠে দিবাকর ৷
advertisement
এমনকি দিবকরই ঝুমকির নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই দিবারক বেলেঘাটা থানার ওসির নামে একের পর এক আপত্তিকর পোস্ট করে। এবিষয়ে চলতি মাসেই দিবাকরের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ করে ঝুমকি।
তদন্তে নেমে ঝুমকির পারিবারিক বিবাদও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাবার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে ঝুমকি। মেয়ের নামে পালটা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ করেন ঝুমকির বাবাও।
এই অভিযোগের পাহাড় হাতড়েই গুলিকাণ্ডের রহস্যের কিনারা করতে চাইছে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভাঙন ও ঝুমকির একাধিক সম্পর্কের জেরেই তাকে গুলি করে দিবাকর।