বরাহনগরে পার্লার, পাটুলি, মাদুরদহ, লেক গার্ডেন্স সহ মোট পাঁচ জায়গায় চলে ইডি তল্লাশি। মিলেছে একাধিক নথি। ইডি অর্পিতাকে জেরা করে ও পার্থকে জেরা করে জানতে চায় টাকার উৎস। ইডি সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে টাকা বাহকদের নাম এবং নম্বর মিলেছে ডায়রি থেকে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে টাকার লেনদেন হত কার হাত দিয়ে? কে বা কাদের কাছে পৌঁছাত টাকা? শুধু ফ্ল্যাটে টাকা আসতো না, টাকা নিয়ে যাওয়া হত? কোথায় নিয়ে যাওয়া হত? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন Partha Chatterjee: 'এসি গাড়িতে কেন, দড়ি পরিয়ে আনা উচিত ছিল', জুতো ছুড়ে সাংবাদিকদের বললেন মহিলা
ইডি সূত্রে খবর, ডায়েরিতে রয়েছে টাকার লেনদেনের হিসাব। টাকা শুধু আসেনি, টাকা নিয়ে যাওয়া হত। ডায়েরিতে নাম -নম্বর মিলেছে। কোথায় কার কাছে নিয়ে যাওয়া হত টাকা? ডাইরিতে কার নম্বর রয়েছে? লেনদেনের হিসাব যাচাই করছে ইডি। ডায়রিতে কার লেখা, হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্টদের পরামর্শ নেওয়া হবে সে ব্যাপারে। অর্পিতাকে ইডি জেরা করে ফ্ল্যাট,জমি, কোম্পানি, এলআইসি হদিস পেলেও টাকার উৎস সম্পর্কে মুখ খোলেননি অর্পিতা। ফলে কোটি কোটি টাকার উৎস কী? তা জানতে বেগ পেতে হচ্ছে গোয়েন্দাদের। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডি-র কাছে দাবি করেছেন এই টাকা তাঁর নয়।
আরও পড়ুন Dead Fish: চালতিয়া বিলে একি কাণ্ড! শয়ে শয়ে মাছ মরে ভাসছে জলে
টাকা কোথা থেকে এলো তাহলে? এই কোটি কোটি টাকার উৎস এখনও ইডি জানতে পারেননি। যা জানা এখন ইডি-র মূল লক্ষ্য। ফলে ফের পার্থ-অর্পিতাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে ইডি, এমনই সূত্রের খবর। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিস্ফোরক দাবি করেন অর্পিতা৷ তিনি জানান এই টাকা তাঁর নয়, তাঁর অজান্তে টাকা ফ্ল্যাটে রেখে আসা হত। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডির আধিকারিকরা।