রাজ্য সরকার এই প্রকল্প কোনওভাবেই ফেলে রাখতে নারাজ। ইস্টওয়েস্ট, জোকা-ধর্মতলা মেট্রো প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ফলে ধর্মতলা তিন মেট্রোর গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
তাই সরকার এই সুযোগকে ব্যবহার করে যানজট ও বায়ু দূষণের মোকাবিলায় ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে চায়। এক্ষেত্রে মেট্রোর কাজের জন্য বিবাদীবাগ চত্বর থেকে মিনি বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের মডেলকে সামনে আনতে চাইছে।
advertisement
ফলে লোকাল ও দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করে ধর্মতলাকে বড় বাস স্টপেজে রূপান্তর করতে চায় রাজ্য। যেমনটি করা হয়েছে বিবাদীবাগ চত্বর জুড়ে। কলকাতা হাইকোর্ট ২০০৭ সালের সেপ্টম্বরেই রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় ছয় মাসের মধ্য ধর্মতলা থেকে বাস স্ট্যান্ড স্থানানন্তর করতে। কারণ দূষণ। যা ক্ষতি করছে ভিক্টোরিয়ার স্থাপত্যকে।
রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে ২০১১ সালে স্থানান্তরের এই সময়সীমা তুলে দেয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তারপর থেকেই বিষয়টি কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুন, প্রয়াত হলেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী! বেঙ্গালুরুতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
আরও পড়ুন, একুশে জুলাই বৃষ্টিতে ভাসতে পারে শহর ! যা জানাল আবহাওয়া অফিস
যদিও রাজ্য সরকার সাঁতরাগাছিতে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করে। যেখানে একশো বাস থাকতে পারে। কিন্তু বাস মালিকরা দাবি করেন ধর্মতলার বিকল্প হিসেবে এটা যথেষ্ট নয়। যদিও এর আগেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন মুখ্য সচিব। তবে সেই সময় ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড নিয়ে পরিকল্পনা করা যায়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, এবারের এই পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকরী করা যায় তা নিয়ে দ্রুত প্রকল্প রূপায়নে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকের জন্য একটি কমিটি ও তৈরি করা হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়