এবার প্রশাসনের একশন। পুরসভার জমিতে গজিয়ে ওঠা অবৈধ ঝুপড়িগুলি ভাঙতে নামল পুর কর্তৃপক্ষ। পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এই জুটিগুলো উচ্ছেদ করা হয়। এই ঝুপড়িতেই অবৈধভাবে এই ব্যবসার কাজ চলে। বৃহস্পতিবার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে চলে যৌথ অভিযান। বিভিন্ন জায়গায় দখলদার সরিয়ে এই ধরনের ঝুপড়িগুলিকে আর্থ মুভার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এলাকা জুড়ে প্রায় 40টি এমন অস্থায়ী গোডাউন ও ঝুপড়ি ভাঙা হয়েছে।
advertisement
ধাপায় একের পর এক ঝুপড়ি গুলি সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছিল। কোথাও দরমার ঘর টিনের শেড দেওয়া, কোথাও আবার বেড়ার ঝুপড়ি বানিয়ে সেখানে প্লাস্টিক, রবার সহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ মজুত করে ব্যবসা করা হতো। ব্যক্তিগত মূলধনের জন্য সরকারি জমির ব্যবহার করে এইভাবে বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হত।
সেদিন, আগুনের লেলিহান শিখা ধাপায় পুরসভার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের পাঁচিলের কাছাকাচি চলে এসেছিল। আগেও বহুবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ধাপার বিভিন্ন এলাকায়। মাঠপুকুর থেকে ধাপায় পুরসভার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে রাস্তার দু’ধারে একাধিক জায়গায় একাধিক ঝুপড়ি রয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে পুরসভার যে গ্যারেজ কিংবা অন্য প্লান্ট রয়েছে, তার বাইরে আশপাশেও বিভিন্ন অঞ্চলে পুরসভার জমিতে একাধিক দখলদার গুজিয়ে উঠেছিল।
কাগজ-কুড়ানিরা প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য নিয়ে এসে ডাই করে রাখত। জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল গ্যারেজ, টায়ার-টিউব মজুত করে রাখার গুদাম। এদিন এই সমস্ত জায়গাতেই হানা দেয় পুর কর্তৃপক্ষ ও প্রগতি ময়দান থানার পুলিস। রীতিমতো পে লোডার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক এরকম টিনের শেড কিংবা বেড়া দিয়ে ঘেরাও থাকা গুদাম, ঝুপড়ি।
ধাপায় অগ্নিকাণ্ডের পরে কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিডার হাকিম বলেছিলেন, পুরসভার জমি দখল করে বহু দিন ধরে তৈরি হয়েছিল। বার বার আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার জমি ব্যবহার করে এভাবে ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য বিপদজনক ব্যবসা চলতে পারে না
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন অবৈধ ব্যবসা ঘিরে সেখানে নানারকমের অসামাজিক কাজকর্মও চলে। তাই এদিন অভিযান চালিয়ে সব পরিষ্কার করা হয়েছে। বস্তা বস্তা প্লস্টিক, টায়ার, রবার জাতীয় দ্রব্য, ভাঙা লোহার যন্ত্রাংশ সহ নানা দাহ্য পদার্থ মজুত রাখা ছিল ঝুপড়ি বানিয়ে। সমস্ত গাছের পদার্থ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নজরদার ি রাখবে এবার পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ। নতুনভাবে কেউ আস্তানা বা ঝুপড়ি করলেই তা আটকানো হবে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর।