ভিআইপি সংস্কৃতি ঘোচাতে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে মোদি সরকার ৷ পয়লা মে থেকে গোটা দেশে কার্যকর হয়েছে এই সিদ্ধান্ত ৷ নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের মত জরুরি পরিষেরার সঙ্গে যুক্ত গাড়িতেই শুধুমাত্র নীল আলো লাগানো যাবে।
শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার স্পিকারের মতো ব্যক্তিত্বদের গাড়ি ছাড়া আর কোনও নেতা-মন্ত্রীর গাড়িতে লাল বাতি লাগানো যাবে না ৷ এই নির্দেশের পরও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের গাড়িতে লাল বাতি থাকায় উঠেছে প্রশ্ন ৷
advertisement
এবিষয়ে পূর্ত, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার এখনও লালবাতি নিষিদ্ধ করেনি ৷’
এর আগে টিপু সুলতান মসজিদের মৌলানা নুরুর রহমান বরকতিকেও প্রধানমন্ত্রী মোদির লালবাতি নিষিদ্ধকরণের নির্দেশ সম্পর্কে জানানো হলে তিনি তা উড়িয়ে দিয়ে তখন দাবি করেছিলেন, ‘আমার কাছে ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি আছে ৷ গাড়িতে লাল বাতি লাগানোর এই অনুমতি আর কারোর কাছে নেই ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের লালবাতি বন্ধ করার কোনও ক্ষমতাই নেই ৷ ভারত সরকারের আগে নিজেদের আইন তৈরি করা উচিত ৷’ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে খুলে নেওয়া হয় বরকতির গাড়ির বাতি ৷ এঘটনার প্রভাবে পরে ইমাম পদ থেকেও বহিষ্কৃত করা হয় মৌলানা নুরুর রহমান বরকতিকে ৷
শাসক দলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের লালবাতি ব্যবহার নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷