এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইসিটিস ছত্রাক থেকে হয়। এটি মৃত্তিকা এবং পচা পাতার মতো ক্ষয়কারী জৈব পদার্থের মধ্যে পাওয়া একটি ছত্রাক। এই বিরল সংক্রমণটি সাধারণত মাটি, গাছপালা, সার বা পচনশীল ফল ও সব্জির মধ্যে যে শ্লেষ্মা থাকে, তার থেকেই ছড়ায়। মানুষের দেহে সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই সংক্রমণ। যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যাঁদের করোনা হয়েছে, যাঁদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যাঁরা ক্যানসার, এইচআইভি, এইডস-এ আক্রান্ত, সেই সব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ প্রাণহানিকর হয়ে উঠতে পারে।
advertisement
ভয়াবহ এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে খুব শীঘ্রই রোগ নির্ণয় করা উচিত। এটি মস্তিষ্কের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আগেই রোগীদের নাক, চোখ বা এমনকি তাদের চোয়াল অপারেশন করে বাদ দিতে হতে পারে। সিডিসি (CDC) অনুসারে, এই রোগে গড় প্রাণহানির হার ৫৪ শতাংশ। এই রোগে আক্রান্ত হলে কয়েক দিনের মধ্যেই মানুষ মারা যেতে পারে, তবে এটি সংক্রামক নয় সিডিসির মতে। ভারতে সাধারণত বছরে বেশ কিছু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে সাধারণত ডায়াবিটিস রোগীরা এবং ক্যানসার-আক্রান্তরা সমস্যায় পড়ছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হলে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মূলত তাঁরাই আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁদের দীর্ঘদিন রোগভোগের জেরে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। শরীরের কোনও অঙ্গ ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে, ক্যানসার রয়েছে এই ধরণের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি রয়েছে।