তবে এখনও বেশ কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের হার প্রশাসনকে চিন্তায় রেখেছে। ফলে সেই জেলাগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে বদ্ধপরিকর রাজ্য। শনিবার জেলাশাসক এবং প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। সেখানে সংক্রমণ কমাতে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
সম্প্রতি নদিয়া, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কোচবিহার, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেদিন মমতা জানিয়েছিলেন, "যে জেলাগুলিতে প্রত্যেকদিনের দু'শোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, সেই জেলাগুলিতে প্রয়োজনে কনটেইনমেন্ট জোন (Containment Zone) করুন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেটা করতে হবে। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার আপনারা নিন। সাত থেকে আটটি জেলাতে এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকদিন আক্রান্তের সংখ্যা দু'শোর পেরিয়ে যাচ্ছে। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।" তারপরে সংক্রমণ তুলনায় কমলেও দিন ফের সেই জেলাগুলি নিয়েই ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব।
advertisement
এ দিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব করোনা টিকাকরণের পরিমাণ বাড়াতে জেলাগুলি নির্দেশ দেন। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর দিকেও নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে জেলাগুলি অতিরিক্ত ডেঙ্গু প্রবণ, সেই জেলাগুলির দিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেন স্বাস্থ্য সচিব।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
