সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অফিসার নিয়োগ ও বদলির অধিকার পেয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, নির্বাচিত সরকারের ‘কথা’ শুনে চলতে হবে উপ রাজ্যপালকে। কিন্তু, সেখানেই সমস্যার সমাধান হয়নি৷ সুপ্রিম নির্দেশের পরেও অব্যাহত দিল্লি-কেন্দ্রের প্রশাসনিক ক্ষমতার টানাপড়েন৷
advertisement
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দিল্লি সরকারের হাতে দিতে নারাজ ছিলেন দিল্লির উপ রাজ্যপাল, যা নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় কেজরিওয়ালের সরকার৷ অন্যদিকে, তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট আইনে অধ্যাদেশ আনে কেন্দ্র৷ আবারও তা পরিবর্তন করে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় উপ রাজ্যপালকে। স্বাভাবিকভাবেই এতে ক্ষমতা খর্ব হয় কেজরিওয়াল সরকারের।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের এই আচরণের বিরুদ্ধে এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সমর্থন চাইছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যেই রবিবার তিনি দেখা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে। আজ, রবিবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক শেষে কেজরী জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন অর্ডিন্যান্স জারি করছে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করেছেন কেজরী৷ তিনি জানান, এ বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়তে তিনি অ-বিজেপি সরকারগুলির কাছে সমর্থন প্রার্থনা করছেন৷ এদিন নীতীশও তাঁকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন৷
আম আদমি পার্টির (আপ) মুখ্য আহ্বায়ক কেজরী বলেন, ‘‘সমস্ত বিরোধী দল একজোট হয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে৷ এটা সেমি ফাইনাল৷ এই অর্ডিন্যান্স রুখতে পারলে গোটা দেশের কাছে একটা বার্তা দেওয়া যাবে যে, চব্বিশে বিজেপি ফিরছে না৷’’
কেন্দ্রের তুমুল সমালোচনা করে এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রশ্ন তোলেন, একটা নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্র কী ভাবে এভাবে ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে? এর বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আশু প্রয়োজন৷
আরও পড়ুন: ডাল লেকে নামল মেরিন! লালচক তোলপাড় করে তল্লাশি, আবার কী হল ভূ-স্বর্গে?
মমতা-কেজরী বৈঠক সম্পর্কে নবান্ন সূত্রে এখনও কিছু জানতে পারা না গেলেও, আপ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মমতার সঙ্গে দেখা করতেই কলকাতায় আসছেন কেজরি৷ এদিন দুপুরেই নবান্নে দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা৷
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্য নিয়ে সলতে পাকানো চলছেই৷ তবে এই সফরে সেই বিষয়ে দুই নেতার কোনও আলোচনা হবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়৷