ওই রবীন্দ্র মূর্তির ফলকের ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্য বিজেপি-র মিডিয়া সেলের প্রধান সপ্তর্ষি চৌধুরী। তার পরই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কসবা কাণ্ডে ধৃত ভুয়ো আইএস আধিকারিকের সঙ্গে ট্যুইটারে বিভিন্ন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর তারই সূত্র ধরে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ফলকে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের তত্কালীন মন্ত্রী তাপস রায়, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশে খোদাই করা রয়েছে দেবাঞ্জনের নাম। সেখানে দেবাঞ্জনকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী ফিরহাদের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।কসবা কাণ্ডের পর্দা ফাঁস হতেই মূর্তিতে দেবাঞ্জনের নামে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে সেই নাম লোকানো যায়নি। এই বিষয়টি নিয়ে এবার জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, নিজেকে আইএএস অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল ধৃত দেবাঞ্জন। একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলে দেবাঞ্জন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করত। লালবাজার সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তার এই ট্যুইটার হ্যান্ডেলটি নিজেদের দখলে নিয়েছেন গোয়েন্দারা। তার পেজে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক ব্যক্তিত্ব, যেমন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ছবি। প্রশ্ন উঠেছে তবে কী ভুয়ো দেবাঞ্জনের শিকার আরও অনেকেই? কীভাবে এই রাজ্য সরকারি ব্যক্তিরা এবং মন্ত্রীদের একাংশ বুঝতেই পারলেন না যে, দেবাঞ্জন আদতে ভুয়ো আইএএস আধিকারিক।