কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার ২ পদে কর্মরত ছিলেন দময়ন্তী সেন৷ তাঁকে রাজ্য পুলিশের এডিজি ট্রেনিং পদে বদলি করা হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দময়ন্তীকে যে পদে পাঠানো হল, তা তাঁর বর্তমান পদের তুলনায় অনেকটাই গুরুত্বহীন৷
যদিও দময়ন্তী সেনের এই বদলির মধ্যে অন্য কোনও তাৎপর্য নেই বলেই দাবি করা হয়েছে সরকারের শীর্ষমহলের তরফে৷ রাজ্য সরকার সূত্রের খবর, দময়ন্তী সেনের এই বদলি রুটিন বদলিরই অন্তর্ভুক্ত৷
advertisement
এদিন দময়ন্তী সেনের বদলি প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘উনি কালিয়াগঞ্জ সিটের সদস্য। তাঁর নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতা প্রশ্নাতীত। তাঁকে এর জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছে। এখনও তাইই হচ্ছে। নজরুল ইসলামকে ফুটবলের মতো এদিক ওদিক করা হয়েছে। কেউ তাঁকে সহ্য করতে পারেনি। দময়ন্তীর মতো অফিসার পুলিশ বিভাগের গর্ব। তাঁদের মাথা নোয়াতে পারছে না বলে এদিক ওদিক করে কাজই করতে দিচ্ছে না।’’
দিলীপের আরও দাবি, ‘‘পুলিশ বিভাগের অধঃপতন ঘটেছে। সাড়া রাজ্য জুড়ে লুটপাট-বিস্ফোরণ। গতকাল শিলিগুড়িতে ৩ জন খুন হয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটক যাচ্ছেন ডেডবডি দেখতে। এখানে দেখুন, পাড়ায় পাড়ায় ডেডবডি পড়ে আছে।’’
আরও পড়ুন: মৃতদেহটাও তো মেলেনি! ১৩ বছর ধরে বাবার বুকপকেটে মেয়ের ছবি, কোথাও যদি একবার দেখা মিলে যায়..
প্রসঙ্গত, অতীতে পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের তদন্তেই প্রথম শিরোনামে উঠে এসেছিলেন দময়ন্তী সেন৷ সেই সময় তিনিই প্রথম জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, পার্ক স্ট্রিটের ওই ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নির্যাতিতা৷ সেই সময় তদন্তকারী অফিসার হিসেবে প্রভাবশালী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এই আইপিএস অফিসার৷
ওই ঘটনার পর থেকেই দময়ন্তীর উপরে একাধিকবার আস্থা রেখেছে আদালতও৷ কাকদ্বীপে জোড়া খুন, মাটিয়া, মালদহ, বাঁশদ্রোণী, দেগঙ্গার চারটি ধর্ষণের ঘটনাতেও গত বছর দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় দময়ন্তীর নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ফলে আচমকা দময়ন্তীর এই বদলিতে ফের পুলিশ, প্রশাসনের শীর্ষ স্তরেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷