শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে বাগবাজার হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মনোজিৎ যাদবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তারই সহপাঠী রানা সিং৷ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে থাকা আরও দুই ছাত্রকে পুলিশ আটক করলেও পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত রানা সিং৷ রাতেই হাওড়া স্টেশন থেকে অভিযুক্ত রানা সিং-কে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ট্রেন ধরে ভিন রাজ্যে পালানোর চেষ্টায় ছিল সে৷
advertisement
ধৃতকে জেরা করে এবং মৃত ও অভিযুক্ত ছাত্রদের বন্ধুদের কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, রানা এবং তার অন্য এক বন্ধুর পরিচিত এক কিশোরীকে উত্যক্ত করা নিয়েই মনোজিতের সঙ্গে বচসার সূত্রপাত৷ তা নিয়েই শুক্রবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে দু জন৷ স্কুল থেকে ফেরার সময় শুক্রবার মৃত মনোজিৎ যাদব এবং তার বন্ধুরা শ্যামবাজার স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর গামী মেট্রোতে উঠেছিল৷ সেই দলে ছিল অভিযুক্ত রানা সিং-ও৷ শ্যামবাজার স্টেশনেই মনোজিৎ এবং রানার মধ্যে তুমুল বচসা এবং হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ তখন অন্যান্য যাত্রী এবং সহপাঠীরা দু জনকে নিরস্ত করে৷ দক্ষিণেশ্বরে মেট্রো থেকে নামার পর দু জনের মধ্যে ফের গন্ডগোল শুরু হয়৷ স্টেশন থেকে বেরনোর মুখেই পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে বরানগরের এস পি ব্যানার্জী রোডের বাসিন্দা মনোজিতকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে অভিযুক্ত রানা সিং৷
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে মনোজিৎকে এলোপাথাড়ি কোপানোর পর প্রথমে বরানগর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কলাকারপাড়া এলাকায় নিজের বাড়িতেই যায় রানা৷ বাবা, মা এবং বোনের সঙ্গে ওই ভাড়া বাড়িতেই থাকত অভিযুক্ত ছাত্র৷ সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে ঢোকার সময় মেরে দিয়েছি, মেরে দিয়েছি বলে চিৎকার করছিল রানা৷ এর পরই দ্রুত বাবা, মা এবং বোনকে নিয়ে বাড়ি ছাড়ে সে৷ কিন্তু হাওড়া থেকে ট্রেন ধরার আগেই রানার নাগাল পেয়ে যায় পুলিশ৷