এদিকে এবার অনুপস্থিত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া মনোভাব নবান্নের। আজ কোন কোন সরকারি কর্মচারী বা আধিকারিক এলেন না বিভিন্ন দফতরগুলিতে? জরুরিভিত্তিতে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানদের। এ নিয়ে বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল নবান্ন বিভিন্ন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানদের। কিছুক্ষণ আগেই নবান্নের তরফে বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবদের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যাঁরা যাঁরা অনুপস্থিত তাঁদের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
অন্যদিকে এই ধর্মঘটের প্রভাব রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছিল প্রশাসনিক মহলের একাংশ। কিন্তু গড়ে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপস্থিতির হার দেখা গেল ৯৫ শতাংশরও বেশি।
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫০৩টি। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর এই ৫০৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের উপস্থিতির হার দুপুরে ১টা পর্যন্ত ৯৬.৬৫ শতাংশ। যা অন্যান্য দিনে তুলনায় অনেকটাই বেশি বলেই দাবি করছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীর শরীর থেকে শুষে নেয় Sugar! এই গাছের ছালের জুড়ি নেই Blood Sugar নিয়ন্ত্রণে!
পাশাপাশি এই ৫০৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধিকারিক ও অশিক্ষক কর্মীদের উপস্থিতির হার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৯৫.২২ শতাংশ। ডি এ ইস্যুতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকাত ধর্মঘটের প্রভাব রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। কিন্তু এর প্রভাব উপস্থিতির হার দেখে খুব একটা পড়েনি বলেই মনে করছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের অর্থ দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকলে শো কজ করা হবে এবং সার্ভিস ব্রেক হবে।
পাশাপাশি শোকজের উত্তর যথাযথ না হলে বিভাগীয় তদন্তের মুখেও পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা আধিকারিককে। গোটা প্রক্রিয়াটি ২৪ শে মার্চ এর মধ্যে শেষ করতেও রাজ্য অর্থদফতর নির্দেশিকা দিয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার সকালেই ৪ দফায় উপস্থিতির হার নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। তার জন্য পৃথক পৃথকভাবে ইমেইল করেও জানানোর কথা বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। সবমিলিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্মঘটের দিন আরও কড়া মনোভাব নিয়েছে নবান্ন।অন্যদিকে দুপুর একটা পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দফতরে উপস্থিতির হার ৯৬% যেখানে উচ্চশিক্ষা দফতরে উপস্থিতির হার প্রায় ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি। মূলত স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা দুই দফতর এই বিকাশ ভবনে রয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়