তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ বলছেন "আমরা যে চেয়ারে বসে রয়েছি সেই চেয়ারে বসে কাজ করতেই হবে। এখানে নৈতিকভাবে সমর্থনের প্রসঙ্গটি আসে না। তার কারণ বিষয় টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন।"যদিও এদিন মহাকরণে কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও উপস্থিত থাকা কর্মচারীদের একাংশ অবশ্য এদিন কাজে যোগ দিতে গররাজি ছিলেন। তবে নবান্নে অন্যান্য দিনের মতোই এদিন কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। তবে রাজ্যের অন্যান্য দফতরে অবশ্য কর্মচারীদের কর্মবিরতির দাবি কে সমর্থন জানিয়ে মিছিল, স্লোগান করতে দেখা যায়। অন্যান্য দফতরের অবশ্য অনেক কর্মচারীদেরই কর্মবিরতির দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এদিন কাজ না করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে আন্দোলনে কড়া রাজ্য, এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্যেও নির্দেশিকা পর্ষদের
আর তার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে গত শনিবার রাজ্য অর্থ দপ্তরের তরফের জারি করার নির্দেশিকা কে কার্যত হাতিয়ার করেই পরোক্ষভাবে কর্মবিরতির পক্ষেই সায় দিলেন কর্মচারীদের একাংশ? প্রসঙ্গত গত শনিবার রাজ্য অর্থ দফতর এর তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয় সোম ওর মঙ্গলবার অনুপস্থিত থাকলে "সার্ভিস ব্রেক" হবে। দুদিনের বেতনও কাটা যাবে। তার সঙ্গে করা হবে শোকজ। শোকাসের উত্তর যথাযথ না হলে বা তার পক্ষে যথাযথ তথ্য না দিতে পারলে বিভাগীয় তদন্তে সম্মুখীন হতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে।
আরও পড়ুন: কলকাতাতেই মৃত্যু ১১ শিশুর! কীভাবে ধরা পড়ে অ্যাডিনোভাইরাস, পরীক্ষার খরচ কত
শুধু তাই নয় গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে বলে অর্থ দফতর নির্দেশিকা দিয়েছে। এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে ইতিমধ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও এদিন কর্মবিরতির প্রভাব পড়েছে বলেও দাবি করেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে সদস্যরা। সবমিলিয়ে অফিসে এলেও যারা পরোক্ষভাবে কর্মবিরতিকে সায় দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কি কোন পদক্ষেপ হবে? আপাতত তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা।