ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, "আজকে ডিএ নিয়ে যাঁরা বনধ ডেকেছেন। তাঁদের বলি, কর্মনাশা বনধ বাংলার মানুষ নেয় না। বনধে হুমকি দিচ্ছে, ঝান্ডা দিয়ে মানুষকে মারা হচ্ছে নানা জায়গায়৷ আর এখানে সরকারি মঞ্চ থেকে, মানুষের জন্য প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে।" উল্লেখ্য, এদিন ডায়মন্ড হারবারের চড়িয়াল সেতুর উদ্বোধন করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
আরও পড়ুন: ১১ দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত, মেয়ে সুকন্যা-সহ ১২ জনকে তলব করার তোড়জোড় শুরু
advertisement
এরপরেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এনে অভিষেকের তোপ, "যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করুন। বাংলার বকেয়া মেটানোর দাবিতে আন্দোলন করুন। আমরা সম্মুখসমরে লড়ছি। টাকা না পেলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে টাকা জোগাড় করে ছাদ দেবেন।"
ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে নবান্ন থেকে শুরু করে জেলা জেলায় সরকারি দফতরগুলিতে ধরা পড়েছে মিশ্র ছবি ৷ এ দিন সকাল দশটা থেকে সরকারি দফতরে কাজ শুরু হওয়ার পর নবান্নে অন্তত কর্মীদের প্রবেশের লম্বা লাইন চোখে পড়ে৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও এ দিন নবান্নে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি৷ নবান্নে আজ আইডি কার্ড ছাড়া কোনও সরকারি কর্মীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না৷ অর্থাৎ, সরকারি কর্মচারীদের ঢোকার সময় পরিচয় পত্র দেখাতে হচ্ছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন: ৮৯ মিনিটের মাথায় তালিকা প্রকাশ, আদালতের নির্দেশে বাতিল Grp-C এর ৮৪২ জনের চাকরি
তবে নবান্নে কর্মীদের উপস্থিতির হার ভাল হলেও জেলায় জেলায় ছবিটা ছিল অন্যরকম৷ বিধাননগরেও ময়ুখ ভবনে বিভিন্ন সরকারি দফতর এ দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা ছিল৷ বিকাশ ভবনেও বিভিন্ন সরকারি দফতরে চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদেরই সংখ্যা ছিল বেশি৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ ছিল৷ মালদহ, ঝাড়গ্রামের মতো বিভিন্ন জেলায় অফিস টাইম শুরু হওয়ার পরেও রাস্তায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীরা৷
সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট ছাড়াও এ দিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সংগঠন ডিএসও৷ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহারের মতো বিভিন্ন জেলায় একাধিক স্কুল নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও খোলেনি বলে অভিযোগ৷ আসেননি স্কুল শিক্ষকরা৷ অনেক জায়গায় খোলেনি কলেজের গেটও। কলেজের গেট খোলাকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর কলেজে ডিএসও এবং টিএমসিপি-র মধ্যে বচসা, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে৷ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সরকারি কর্মচারী, স্কুল শিক্ষকদের সঙ্গে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের বচসা, গন্ডগোলেরও খবর মেলে৷ কোচবিহারের মাথাভাঙায় ধর্মঘটের সমর্থক একজন সরকারি কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷