তাঁর বক্তব্য, "সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। যাঁরা সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীর উপরে বিষোদ্গার করছেন। আগামিকাল ও পরশু পেন-ডাউন করে সরকারি বিরোধিতায় নামছেন। সরকারের বিরোধিতা মানে সরকারের কাজের বিরোধিতা। সরকারি কাজ থেকে দূরে থাকা৷ কাজ না হলে রাজ্যের মানুষ বঞ্চিত হবেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই অবস্থান করা হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গলে সরকারি দফতরে কর্মবিরতি মানবে না রাজ্য, কড়া নির্দেশ নবান্নের
এর পরেই বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য, " কাল ও পরশু তাদের পেন ডাউন অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। বামেরা পিছন থেকে এঁদের মদত দিচ্ছেন, যা অত্যন্ত খারাপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও মনে করেন না, যে ডিএ দেওয়া হবে না৷ ডিএ দেবেন তিনি বলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার অর্থনীতি অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এর পরেও ১০০ দিনের কাজের টাকা, নানা প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। আমরা ডিএ দেব না কখনও বলিনি। অর্থনৈতিক সংস্থান হোক, নিশ্চই দেব।"
আরও পড়ুন: জিএসটি বাবদ রাজ্যের বকেয়া মেটাবে কেন্দ্র, তবে শর্ত দিলেন নির্মলা
যদিও তার এই আবেদন রাখতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা। যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারী অনিমেষ হালদার বলেন, "সরকারের উচিত ছিল এই ন্যায্য দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলা অনশনকে মান্যতা দিয়ে আলোচনায় বসা। তাঁরা এখন বিমাতৃসুলভ, উদ্ধত আচরণ করছেন। এই আন্দোলনের ফলে যখন সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন হতে চলেছে, তখনই তাঁরা ফরমান জারি করলেন। তাতে এই আন্দোলনের মাত্রা আরও বেড়েছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সামাজিক মাধ্যমে আমাদের কাছে খবর আসছে যে, আন্দোলনকারীরা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছেন। আমরা এমনিই বঞ্চনার শিকার। তাতে যদি আরও দুদিনের মাইনে কাটা হয়, তাহলে কাটুক। আইনের লড়াই এই ফরমানের বিরুদ্ধেও চলবে। তার পাশে রাস্তার আন্দোলনও জারি থাকবে।"