১৬ মাস ধরে আইনি যুক্তি, পাল্টা যুক্তির লড়াই শেষে ৩১ অগাস্ট সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় শোনায় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা আইনসিদ্ধ অধিকার এই দাবিতে সিলমোহর দিল আদালত ৷ ২০১৭ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট)-এ মহার্ঘভাতা নিয়ে মামলার শুনানির সময় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার নয়। মহার্ঘ ভাতা দেওয়া না দেওয়া সরকারের ইচ্ছের অধীন ৷ সরকারের এই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছিল স্যাটও ৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ৷
advertisement
আরও পড়ুন
SBI গ্রাহকদের জন্য সুখবর, ATM থেকে টাকা তোলায় নয়া নীতি
সেই মামলাতেই বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার, দয়ার দান নয় ৷ মামলা ফেরে স্টেট অ্যাডিমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে ৷
‘তাড়াহুড়ো করে রায় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল’, মত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ৷ নতুন করে রায় পর্যলোচনা করার জন্য দুটি বিষয় স্যাটের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্ট ৷
১) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কমর্চারীরা সমান হারে ডিএ পাবেন কিনা?
২) দিল্লি ও চেন্নাইয়ে কর্মরত রাজ্যের কিছু সরকারি কর্মচারী, এ রাজ্যে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের থেকে বেশি হারে মহার্ঘ ভাতা পান ৷ ফলে একই পদে কাজ করা সত্ত্বেও তৈরি হচ্ছে বেতন বৈষম্য ৷ এক্ষেত্রে প্রশ্ন তাদের সমানহারে ডিএ কি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা?
দুই মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্যাটকে ৷
আরও পড়ুন
দামী পেট্রোলে দামী উপহার! পেট্রোল পাম্পে কেনাকাটায় এবার উপহার মিলছে বাইক-এসি-মোবাইল
এক বছর ধরে হাইকোর্টে বিচারাধীন ছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা ৷ এর মাঝেই মামলা চলাকালীন নতুন হারে ডিএ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার ৷ তবে সেই ডিএ লাগু হবে ২০১৯ জানুয়ারি থেকে ৷ এখন রাজ্য সরকারি কর্মীরা ১০০ শতাংশ ডিএ পান আর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা পান ১৪৭ শতাংশ। এখনও ফারাক ৪৭ শতাংশ।