আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পান। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকরই হয়নি। ২০১৬ সালে ডিএ সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে। এরপর থেকে মামলা একবার স্টেট অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (স্যাট) কাছে যায়, একবার বল গড়ায় হাই কোর্টে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হিসেব মতো পঞ্চম বেতন কমিশন ও ষষ্ঠ বেতন কমিশন মিলিয়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে ৩৪ শতাংশের দাবিতে মামলা সরকারি কর্মীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের জেরার পরই ফের সকালে ডাক, আবার নিজামে পরেশ অধিকারী! কীসের ইঙ্গিত?
এই আবহে ২০১৮ সালে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যকে। পরে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালও মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা অনেকটাই বকেয়া রেখেছে বলে অভিযোগ কর্মচারীদের। ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার একমাত্র বিধানসভারই আছে। অবশ্য আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে মহার্ঘ ভাতা পাওয়া কর্মীদের অধিকার। আর এই পর্যবেক্ষণেই আশার আলো দেখেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বাস্তবে সেই আশাই এবার দিনের আলো দেখল।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের খুনি নালা, নিখোঁজ বাংলার ৫ শ্রমিক কোথায় গেলেন? তুমুল রহস্য ভূস্বর্গে
মামলা চলাকালীন রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের সমতুল্য ডিএ কেন পাবেন না তাঁরা? এই আবহে আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া কর্মীদের আইনি অধিকার। সেই অধিকাররের কথাই এবার নির্দেশ দিয়ে বুঝিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।