রবিবার ভিডিও কনফারেন্স করে বিভিন্ন জেলার স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে কীভাবে স্কুলগুলিকে আশ্রয় শিবির করা হবে, তার যাবতীয় গাইডলাইনও দেওয়া হয়।
কোভিড আবহে পূর্ব উপকূলে মহা-আশঙ্কা ঘনিয়ে তুলেছে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কাছে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কোনও ভাবেই যাতে কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত না-হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশের পাশাপাশি বিপর্যয়ের পরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ডায়েরিয়ার মতো রোগ রুখতেও সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে নবান্নকে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব উপকূলের যে-সব রাজ্যে যশের প্রভাব পড়তে পারে, তাদের মুখ্যসচিবদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
advertisement
জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশের প্রকোপে উত্তাল থাকবে সাগর। মঙ্গলবার থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে এবং তা ছড়িয়ে পড়বে অন্যান্য জেলায়। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।
গত বছরেও অতিমারি আবহে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপট দেখেছিল বাংলা। ঠিক এক বছরের মাথায় ঘনিয়ে আসছে যশ। আর ঘূর্ণিঝড়ের পর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় হাসপাতালগুলিতে আগেভাগে জরুরি ওষুধ মজুত করতে বলা হয়েছে। আশ্রয় শিবিরগুলিতে অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে। উপকূলের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। ফলে ওই বিপুল সংখ্যক মানুষকে জায়গা করে দিতে স্কুলগুলিকে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।