আগামী মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের উপকূলে সিত্রাং আছড়ে পড়তে পারে বলে বিভিন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত ওয়েবসাইট জানিয়েছে। সেই বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখেই সব বন্দরেই কার্যত জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হবে। জাহাজ গভীর সমুদ্রে থাকলে ঘূর্ণিঝড়ে কোনও ক্ষতি হয় না। পোর্ট ট্রাস্টের সিনিয়র জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বন্দরে নোঙর করে থাকা জাহাজগুলিকে আরও শক্তপোক্ত ভাবে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধ। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে গ্রেফতার শৈলেশ ব্রাদার্স-সহ মোট ৪, ওড়িশা ও গুজরাতে গিয়ে ধরল পুলিশ
পোর্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুন্দরবন এলাকায় নোঙর করে থাকা একাধিক ভেসেলকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হবে। ডায়মন্ড হারবার ও সাগর বন্দরে ভেসেল ঢোকা নিষিদ্ধ করা হবে। পণ্য ওঠানামাও বন্ধ। এই দুই বন্দরে বন্দরে থাকা ভেসেলগুলিকেও পাঠানো হবে গভীর সমুদ্রে। বন্দরের বার্জগুলিকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। হলদিয়ায় আপাতত জাহাজ চলাচল চালু হলেও সকালের জোয়ারে তিনটি জাহাজ বন্দর ছেড়েছে, এবং দু’টি শিপ বন্দরে ঢুকেছে। পাইলট ভেসেল ‘মা গঙ্গা’ এবং চারটি পাইলট লঞ্চকেও বন্দরের নিরাপদ স্থানে নোঙর করা হবে।
আরও পড়ুন: এত বড় সাপ? মাথাভাঙ্গায় ১০ ফুটের বিশাল আকার রক পাইথন উদ্ধার! দেখুন
কলকাতা বন্দরে এই মুহূর্তে মোট ৩০টি বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পোর্ট ট্রাস্ট। এছাড়া হলদিয়া বন্দরেও রয়েছে ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ। বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে আলাদা করে সাগরের সুভাষ ভবন, হলদিয়ার জহর টাওয়ারে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় গঙ্গার সব ঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ঘাটগুলিতে কোনও ক্ষতি হলে সঙ্গে সঙ্গে মেরামতির জন্য কর্মীদের রাখা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে একটি কুইক রেসপন্স টিমও।