ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা ৷ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ধূলিসাৎ বাংলার কয়েকটি জেলা ৷ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে আমফান ৷ তাতে গোটা ধ্বংসের চিত্রটা বুঝতেই ৩-৪ দিন লেগে যাবে, এক দিনে কিচ্ছু হবে না ৷ পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তী, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় থেকে যা খবর পাচ্ছি, তা ভয়ঙ্কর ৷ গাছ পড়ে মানুষ মারা গিয়েছেন ৷ অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই ৷ জল নেই ৷ রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।প্রচুর বাড়ি, নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷’
advertisement
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কেউ ত্রাণ শিবির ছেড়ে যাবেন না ৷ এত মারাত্মক ঝড় এযাবৎকালে কেউ দেখেনি ৷ মাত্র একদিনের নোটিশে ৫ লক্ষ মানুষ সরিয়ে নিয়ে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে৷ তাতেই বাঁচানো গিয়েছে খানিকটা হলেও মত মুখ্যমন্ত্রীর ৷ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এত বড় ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির পর সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে রাজ্যের ১০-১২ দিনেরও বেশি সময় লাগবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবারও সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করব। দিঘাতে তেমন বেশি হিট করেনি,কিন্তু সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে দুই পরগণার। আমাদের অফিস নবান্নেরও অর্ধেক ভেঙে গিয়েছে। কয়েক হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল, লাখও ছাড়াতে পারে। কত যে বাড়ি, নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে, খেত থেকে… সব সর্বনাশ হয়ে গেছে। সংখ্যাটা এখনই বলা যাবে না ৷’