TRENDING:

একদিনের মধ্যে ৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছিলাম, নইলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেত, আমফানের ধ্বংসলীলায় স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী

Last Updated:

রাজ্যের পুরো সর্বনাশ হয়ে গেল ৷ভাগ্যিস ৫ লক্ষ মানুষকে আমরা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম ৷’ আমফানের তাণ্ডবলীলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল এমনই সুর ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: আমফানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড বাংলা ৷ ‘ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি ৷ আমি স্তম্ভিত ৷ রাজ্যের পুরো সর্বনাশ হয়ে গেল ৷ভাগ্যিস ৫ লক্ষ মানুষকে আমরা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম ৷’ আমফানের তাণ্ডবলীলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল এমনই সুর ৷
advertisement

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা ৷ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ধূলিসাৎ বাংলার কয়েকটি জেলা ৷ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘ঝড় যে এত ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠবে তা বোঝা যায়নি ৷ তবুও একদিনের নোটিশে বিভিন্ন জেলায় মানুষদের নিরাপদে স্থানে সরানো হয়েছিল। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমরা সিরিয়াসলি যদি না নিতাম, ৫ লক্ষ মানুষকে না সরালে আরও কত মানুষ মারা যেতেন, জানি না।’

advertisement

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে আমফান ৷ তাতে গোটা ধ্বংসের চিত্রটা বুঝতেই ৩-৪ দিন লেগে যাবে, এক দিনে কিচ্ছু হবে না ৷ পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তী, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় থেকে যা খবর পাচ্ছি, তা ভয়ঙ্কর ৷ গাছ পড়ে মানুষ মারা গিয়েছেন ৷ অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই ৷ জল নেই ৷ রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।প্রচুর বাড়ি, নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷’

advertisement

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কেউ ত্রাণ শিবির ছেড়ে যাবেন না ৷ এত মারাত্মক ঝড় এযাবৎকালে কেউ দেখেনি ৷ মাত্র একদিনের নোটিশে ৫ লক্ষ মানুষ সরিয়ে নিয়ে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে৷ তাতেই বাঁচানো গিয়েছে খানিকটা হলেও মত মুখ্যমন্ত্রীর ৷ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এত বড় ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির পর সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে রাজ্যের ১০-১২ দিনেরও বেশি সময় লাগবে৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবারও সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করব। দিঘাতে তেমন বেশি হিট করেনি,কিন্তু সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে দুই পরগণার। আমাদের অফিস নবান্নেরও অর্ধেক ভেঙে গিয়েছে। কত যে বাড়ি, নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে, খেত থেকে… সব সর্বনাশ হয়ে গেছে। সংখ্যাটা এখনই বলা যাবে না ৷’

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
একদিনের মধ্যে ৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছিলাম, নইলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেত, আমফানের ধ্বংসলীলায় স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল