তবে এই অনু্ষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ বুধবার সকালে তিনি ট্যুইট করে জানান কেন এই শপথগ্রহণ অনু্ষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন না৷ অনুষ্ঠানের আসনবিন্যাস নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি৷ দলত্যাগী দুই বিধায়কের পাশে তাঁকে আসন দেওয়াতেই আপত্তি প্রকাশ করেন তিনি৷ তবে একইসঙ্গে এও জানিয়েছেন পরে গিয়ে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসবেন৷
advertisement
নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে অনেক কিছুর সঙ্গেই ১০০ টি রসগোল্লা নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই রসগোল্লার হাঁড়ি নীল রঙের। এমনটাই বরাত দেওয়া হয় কলকাতায় রসগোল্লার আবিষ্কারক নবীনচন্দ্র দাসের এক বংশধরের সংস্থাকে। শুধু তাই নয়, সেই রসগোল্লা নীল হাঁড়িতে করে নবান্ন থেকে যায় রাজভবনে। দুটি হাড়িতে ৫০ টি করে মোট ১০০টি রসগোল্লা রাখা থাকছে।
আরও পড়ুন : পুরকাজে দক্ষদের বেছে নেওয়া হবে, পুরসভার কাজে গতি আনতে মিউনিসিপ্যাল ক্যাডার তৈরি করতে চায় রাজ্য
মঙ্গলবারই রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। কলকাতা এসে পৌঁছে কালীঘাটে পুজোও দিয়েছেন তিনি। ওই মিষ্টির সংস্থার তরফে জানানো হয় মঙ্গলবার রাতেই নবান্নের তরফে স্পেশাল রসগোল্লা তৈরির বরাত দেওয়া হয়। তৈরি রাখতে বলা হয় নীল হাঁড়িও। নীল হাঁড়িতে রাখা হয় সাদা রসগোল্লা।
আরও পড়ুন : বিধানসভার অধিবেশনে প্রতিদিন হাজির হতে হবে, কড়া তৃণমূল কংগ্রেস
ইতিমধ্যেই সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন কলকাতা তাঁর ভাল লাগার শহর৷ পছন্দ করেন রসগোল্লাও৷ কারণ অবসরপ্রাপ্ত এই আইএএস অফিসার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে। সেই সময় কলকাতায় চাকরি করতেন কেরলের কোট্টায়ামের এই বাসিন্দা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নতুন রাজ্যপালের মন্তব্য, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধার সম্পর্ক রেখেই কাজ করবেন তিনি। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকার সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত ছিল তুঙ্গে। তিনি উপরাষ্ট্রপতি হওয়ায় বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লা গণেশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৯৭৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার এবং অবসপ্রাপ্ত আমলা সিভি আনন্দ বোসকে বাংলার রাজ্যপাল নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।