সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামণিকের উপর হামলার ঘটনায় কড়া বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। রাজভবন থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, "বিভিন্ন মহল থেকে ৩৫৫ ধারা জারির আবেদন করা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলে রাজ্যপাল নীরব দর্শক থাকতে পারেন না।"
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, "রাজভবনে সঙ্গে নবান্ন সম্পর্কের কোনও জটিলতা নেই। ২৪ জন উপাচার্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের কোনও সই নেই। এটা নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এটা নিয়ে আমরা ভাবছিলাম। কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন। এটা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে সলিউশন করতে পারি। গতকাল আমরা মিটিং করেছি। আজকে উপাচার্যরা প্রত্যেকে রাজ্যপালের হাতে একটি করে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এবং রাজ্যপাল তাঁদের ৩ মাসের এক্সটেনশন দিয়েছেন।"
advertisement
তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক মতো চলুক। আমরা সার্চ কমিটি গঠন এবং আইনি সংশোধন করতে যাচ্ছি। রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রাজভবন-নবান্ন যাতে একসূত্রে কাজ করে, সেটা চাইব। রাজ্যপাল সবার। কোনও পর্ব থেকে থাকলে সেটা অতীত।"
আরও পড়ুন, নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা নিয়ে কঠোর মনোভাব রাজ্যপালের, কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ
আরও পড়ুন, আচার্য রাজ্যপালের উপস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে
রাজ্যপাল জানান, "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আত্মনির্ভর ভারতের কথা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে। সবাই সাংবিধানিক পদ মেনে চলবেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্ক গঠনমূলক হবে।"