#কাঁথি: হুজুর মিথ্যা মামলা!
প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলে যোগ দিতেই হয়েছে মিথ্যা মামলা। শুধু তাই নয়, মক্কেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ায় কাঁথি থানার এফআইআর অভিযুক্ত। এরপর আরও বলে চলেছেন সিনিয়র আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া। আর এজলাসে তা শুনছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।উপলক্ষ্য কাঁথি থানার ত্রিপল চুরির মামলা। মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মামলায় আর এক অভিযুক্ত শুভেন্দু ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। ২ জনেই হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছেন ত্রিপল চুরির এফআইআর খারিজ চেয়ে।
advertisement
সোমবার দুপুর দুটোয় যখন শুনানি পর্বে শুভেন্দুর আইনজীবী আবেদনের ৯ নং প্যারাগ্রাফ খুলে বিচারপতিকে দেখিয়ে দিলেন, কেন তিনি বলছেন এফআইআর আদালত গ্রাহ্য নয়। কাঁথি থানার এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন একজন। একই এফআইএরে অন্য অভিযুক্তদেরও গ্রেফতারির আশঙ্কা থাকেই। তাই আইনি লড়াইয়ে এফআইআরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এ দিনের মামলায় কেস ডায়েরি না থাকায় কোনও নির্দেশ দান করতে আইনি অসুবিধার কথা বুঝিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ২২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্দিষ্ট করেছে হাইকোর্ট। রাজ্যের চিফ পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশে দিতে গিয়ে জানিয়েছেন কেস ডায়েরি পেশ করতে ওইদিন। শুভেন্দুদের রক্ষাকবচের অন্তর্বতী নির্দেশের আবেদন রাখলেও এ দিন তা গ্রাহ্য করেনি আদালত। ২২ জুন কেস ডায়েরি পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে বিবেচনা করেই পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। তবে শুভেন্দু মামলা ঘিরে এজলাসে বারবার উঠে এল শাসক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভুরি ভুরি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রসঙ্গ।
এই প্রসঙ্গে ২০১৮ সালের একটি মামলার প্রসঙ্গও ঢুকে পড়লো শুনানিতে।সোমবারই ৫০ বিধায়ক নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শুভেন্দু অধিকারী জানান, রাজ্যে ভোট পরবর্তী সময়ে ৩০০০ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের। সব মিথ্যা মামলার একযোগে সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি। তবে এতো রাজনীতির মারপ্যাঁচের কথা। এজলাসে শাসক-বিরোধী তরজা সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বলেই মত আইনজীবীদের একাংশের।