হস্টেলের পানসে ভাত, ডাল বা ডিমের ঝোল। তার মাঝেই এক-দু দিন পাতে পড়ত মাংস। ক্যানটিনে গিয়ে মাংসের পদ চেখে দেখা। তার স্বাদই যেন আলাদা। গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বিকোচ্ছে বাজারে। পচাগলা মুরগির বিক্রির খবরও মিলছে দেদার। আর তাতেই বেড়েছে মাংস-আতঙ্ক। তাই পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত রাজ্যের প্রথম সারির দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের। কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হস্টেল বা ক্যানটিনের স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে যেসমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সেগুলি হল-
advertisement
- হস্টেল ও ক্যান্টিনের মাংসের নমুনা পরীক্ষা হবে
- মাংসের নমুনা পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ল্যাবেই
- কোথা থেকে মাংস আনা হচ্ছে?
- কোন কোন ভেন্ডার পাঠাচ্ছেন মাংস?
- সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আশ্বস্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হস্টেলেই মাংসের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। প্রয়োজনে আগামী কয়েক সপ্তাহ হস্টেল বা ক্যানটিনে মাংসের পদ নিষিদ্ধ হতে পারে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।