গত বুধবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল -রাজ্য কার্যত সংঘাতের পরিবেশই ছিল। কখনও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-লিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়কে ফাইল ফেরত পাঠানো, কখনও উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডাকলেও তাঁর না যাওয়া, আবার কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপাল তথা আচার্যের নাম না ছাপানো। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন এর সেনেট বৈঠকে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়৷ সেই বৈঠকও স্থগিত হয়ে যায়। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়ে উপাচার্যের ঘর তালাবন্ধ দেখে ফিরতে হয়েছিল রাজ্যপালকে। যার জেরে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল।
advertisement
তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চললেও রাজ্যপাল অবশ্য সেভাবে কোনও মন্তব্য করেননি৷ শেষমেশ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে বিবৃতি জারি করলেন রাজ্যপাল।কোনও বিতর্ক নয়, বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় কে ডি-লিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসাই করেন রাজ্যপাল। বিবৃতিতে তিনি এও বলেন ‘আগামী দিনে তিনি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিভিন্ন বই পড়তেও আগ্রহী। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সমাবর্তন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে পারেন৷
SOMRAJ BANDOPADHAY