সাধারণ মানুষের মধ্যে বাহিনীর নানা তথ্য তুলে ধরার জন্য এদিনের এই সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় সিআরপিএফের তরফে। কী ভাবে দুর্গম পরিস্থিতির মধ্যে তারা কাজ করেন? হঠাৎ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা হামলার সম্মুখীন হলেই বা বাহিনী কী ভাবে সামাল দেয়? সব কিছুই সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন। ছিল তাদের বিশেষ ব্যান্ডের প্রদর্শনীও।
advertisement
আরও পড়ুন: 'এই' শহরে চপ মানেই 'হরিদার দোকান'! মুখে দিলেই মুচমুচে! তেলেভাজা বিক্রি করেই 'ফেমাস' হরিদা!
১৯৫৯ সালে চিনের আগ্রাসনে ১০ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন, তাদের বীরত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলার ঘটনায় প্রতিরোধে সিআরপিএফ জওয়ানদের ভূমিকা কি ছিল তুলে ধরা হয় প্রদর্শনীতে। LMG-5.56MM ইনসাস থেকে SRL, MM মর্টারের মতো রকেট লঞ্চারের মতো আধুনিক সমরাস্ত্র স্থান পায় প্রদর্শনীতে।
এছাড়াও কাজে ব্যবহৃত দূরবীনও ছিল প্রদর্শনীতে। এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফের পশ্চিমবঙ্গ জোনের আউজি বিদ্যুৎ সেনগুপ্ত। ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানদের পরিবারের সদস্যরাও। ছিলেন সেন্ট্রাল জোনের ডিআইজি দলবিন্দ সিং গিরিওয়াল।
এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে রাজ্যের জঙ্গলমহলে মাওবাদী দমনে কী ভাবে কাজ করে গিয়েছে বাহিনী তাও উল্লেখ করা হয়। এমনকি অন্ধ্র, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মাও অধ্যুষিত এলাকায় বাহিনীর ওপর হামলা, শহিদের কথাও তুলে ধরা হয় জনসাধারণের জন্য। এই সকল এলাকায় তাদের কাজের দিকও জানানো হয় সাধারণ মানুষকে। জনসংযোগ বাড়াতে তারা কী ভাবে কাজ করে থাকেন, গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজ, ফুটবল ম্যাচ করা সমস্ত বিষয়কে সামনে রেখে এদিন ভিক্টোরিয়া প্রাঙ্গনে প্রদর্শনীর আয়োজন করল সিআরপিএফ।