কলকাতা পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল শহরের বিভিন্ন জায়গায় বছরের শেষে বেপরোয়া হলেই লাগাম শক্ত করবে। সেই মতো রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ে শহরের বুকে বেপরোয়া গাড়ির দাপট, কখনও গাড়ির চালক মদ্যপ তো কখনো হেলমেটহীন বাইক চলছে শহরের বুকে। বেশ কিছু জায়গায় এই ধরনের ঘটনা কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট থেকে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের নজরে আসতেই রাতের দিকে নাকা চেকিং পয়েন্ট করে শুরু হয় ধরপাকড়।
advertisement
আরও পড়ুন : ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি! নয়া ডেস্টিনেশন কালনার ছাড়িগঙ্গা, জানুয়ারিতেই নয়া উদ্যোগ বন দফতরের
লালবাজারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী গতবছরের শেষ রাতে বেপরোয়া গাড়ির চালকের সংখ্যা ১৮৭ জন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালকের সংখ্যা ১৭৯ জন, হেলমেট ছাড়া চালকের সংখ্যা ১৪৮ জন, দুইজনের বেশি বাইক আরোহীর সংখ্যা ৯৫, এছাড়াও অন্যান্য অভিযোগের ভিত্তিতে ৫৫ জনকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। এছাড়াও পুলিশ বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করে ৮০ লিটার।
আরও পড়ুন : বছরের প্রথম দিন রেকর্ড ভিড়! পিকনিকের ধুম লেগে গিয়েছে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায়
শনিবার রাত থেকে রবিবার মধ্য রাত পর্যন্ত নজরদারিতে অনেকটাই দুর্ঘটনা কমানো গেছে বলে মনে করছেন লালবাজারের একাংশ। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে আগাম সর্তকতা ও সাবধানতা করা হয়েছিল, যেমন পার্কস্ট্রিট চত্বর ছাড়াও শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোয় বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়, সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের নজরদারির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় একগুচ্ছ IPS পদমর্যাদার অফিসারদের। যদিও বছরের শেষের দিকে অথবা শুরুর দিনে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় বেপরোয়া গাড়ির গতিতে আহত হন এক ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল। ওইদিনই বাইপাসের ধারে অজয়নগরের কাছে একটি গাড়ি ভোরের দিকে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে, ফলে আরোহী তিনজন অক্ষত থাকলেও গাড়িটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।