ওয়াটগঞ্জে প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মৃতার ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। প্রথমে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। পরে তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে মুখে দুর্গার খুনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর ভাসুর। তবে,মৃতার স্বামী খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
advertisement
ওয়াটগঞ্জের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে যুবতীর দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য বাড়ছে ক্রমেই। দেহাংশগুলি তিনটি কালো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কালো প্লাস্টিকের একটিতে যুবতীর কাটা মাথা রাখা ছিল। সেই মাথায় সিঁদুরও পরা ছিল। কপালে ছিল টিপ। দেহের খণ্ড উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনাক্ত হল যুবতীর দেহ। যুবতীকে খুন করে দেহ খণ্ড করার মূল অভিযোগের তীর যুবতীর দেওর ও স্বামীর দিকেই।
পুলিশের দাবি, দুর্গা সরখেল (৩০) নামে ওই মহিলার স্বামী মাদকাসক্ত। তাঁকে রিহ্যাবে পাঠানো হয়। রিহ্যাব থেকে পালিয়ে ওয়াটগঞ্জে নিজের বাড়িতে চলে আসেন তিনি। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। ভাসুর নীলাঞ্জনকে আটক করেন ওয়াটগঞ্জ থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকরা।