সংগঠনের অভিযোগ আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করলেও পুলিশের তরফে লাঠিচার্জ করা হয়। এর ফলে সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হয়। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে। পরে দলের রাজ্য কমিটির তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে পার্থ ঘোষ জানান, ‘‘আজ বিপ্লবী যুব অ্যাসোসিয়েশন ও অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনেই এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মৌলালীর রামলীলা ময়দানে তিনশতাধিক ছাত্র-যুব জমায়েত হয়েছিল। রাজ্যে আকাশচুম্বী বেকারত্ব এবং নিয়োগ সংক্রান্ত চরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরে যে প্রতিবাদ চলছে তাকে মূর্ত রূপ দেওয়ার জন্য এই অভিযান ছিল। দাবি ছিল, সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগ করতে হবে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, টেট, এসএসসি-সহ তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মীনিয়োগ সহ বিভিন্ন ধরনের নিয়োগে চলছে দুর্নীতি ও আদালতের নির্দেশে তদন্ত। আজ যখন ছাত্র-যুবরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শুরু করে পুলিশ শুধুমাত্র ব্যারিকেডই তৈরি করেনি, লাঠিচার্জ শুরু করে দেয়। কয়েকজন মহিলা সাথী গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।
advertisement
গ্রেফতার হওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে আছেন সিপিআইএমএল লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার,পার্টির কলকাতা জেলা সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী, মহিলা নেত্রী শোভন নাথ, আরওয়াইএ-র রাজ্য সভাপতি অপু ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক রনজয় সেনগুপ্ত, কার্যকরী সভাপতি সজল দে, আইসা রাজ্য সভাপতি নিলাশীষ বসু। ছাত্র নেত্রী তিয়াশা লাহিড়ী, অনন্যা চক্রবর্তী, অর্পিতা রায়, গণসাংস্কৃতিক সংগঠক বাবুনী মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের এই বর্বোরোচিত হামলার আমরা তীব্র নিন্দা করি ও ধিক্কার জানাই। আটক পার্টি নেতা এবং যুব ছাত্র নেতা নেত্রীদের অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।’’