রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে প্রতিবছরই দোলের দিন রঙিন দেখতে অভ্যস্থ দক্ষিণ কলকাতার মানুষ। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার নিজের এলাকায় ঘুরেছেন। পরিচিত, প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দোলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। নিজে রং মেখেছেন তো বটেই, অন্যকেও রাঙিয়ে দিয়েছেন। এ দিন তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে গানও। গেয়েছেন, 'তু কেনে কাদা দিলি সাদা কাপড়ে।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ কামড়ে খুবলে নিচ্ছে মাংস, রাস্তায় বেরোলেই অতর্কিতে আক্রমণ! লাঠি হাতে এলাকাবাসী, অশোকনগরে প্রবল আতঙ্ক
সিপিআইএমের অন্দরে এই ধরণের রীতি না থাকলেও কিছু কিছু নেতা ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎসবে অংশগ্রহন করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে একজন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তবে তিনি এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করেন না। সাধারণত বাড়িতেই থাকেন। পরিচিত বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন তাঁর কাছে আসেন। আবীর দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ বারেও একই রকম ভাবে তাঁর বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন পাড়ার প্রতিবেশী এবং বন্ধুবান্ধবরা। তাঁর গায়ে লাগিয়ে দিয়েছেন লাল আবির, তিনিও পাল্টা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
আরও পড়ুনঃ গাড়িতে থরে থরে সাজানো টাকা! অঙ্ক শুনলে মাথা ঘুরে যাবে, তোলপাড় ডেবরা
সুজন চক্রবর্তী জানান, "রঙের উৎসব রং যেন মোর মর্মে লাগে। সকল কর্মে যেন রং লাগে। রঙিন হোক মানুষের জীবন। এতো বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে নানাবিধ কারণে সবাই বুঝতে পারছে। সেখানে অন্তত একটা রঙিন হওয়ার প্রচেষ্টা থাকুন, এটুকুই। লাল রঙের আভা ক্রমশ ক্রমশ বাড়ছে এবং বাড়বে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমি বরাবরই বাড়িতেই থাকি মূলত দোলের দিন পাড়ার ছেলেরা আসে, বাচ্চারা আসে। অপেক্ষা করতে হয়, কখন ওরা আসবে। সকলকে দোলে শুভেচ্ছা।"
রংয়ের উৎসব ধর্মীয় বেড়াজাল ভেঙে অনেক আগেই মুক্ত হয়েছে। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৃত্তে অনেক ভূমিকাও রেখেছে এই উৎসব। আর রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা জনসংযোগ করার জন্য এই দিনটিকে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই রেওয়াজ বিশেষ করে গোবলয়ে দেখা যায়। নেতারা জমকালো হোলির আয়োজন করেন। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে হাজির হন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার মঞ্চ হিসেবেও এই উৎসবকে ব্যবহার করার নজিরও রয়েছে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের বাড়িতে যে ভাবে হোলির আয়োজন করা হতো তাতে রীতিমতো নজর রাখত রাজনৈতিক মহল। এ রাজ্যেও ধীরে ধীরে সেই সংস্কৃতি ঢুকতে শুরু করেছে। গোবলয়ের মতো অতটা না হলেও, রাজনৈতিক দলের নেতারা জনসংযোগের জন্য এই দিনটি হাতছাড়া করতে চান না।
Ujjal Roy