করোনা ভাইরাস মোকাবিলার মার্চ মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল লকডাউন। হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের জন্য বিপদ নেমে। কোনও ব্যবস্থা করার আগেই বহু মানুষ কাজ হারান। অর্থসংকট নেমে আসে আচমকা। তাদের কথা ভেবেই যাদবপুরে প্রথম শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু করে সিপিআইএম। এই উদ্যোগে শুরুতেই ব্যাপক সাড়া পায় সিপিএম। লকডাউনের মধ্যে প্রচুর মানুষ যেমন খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করেছে, একই সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বহু সাধারণ মানুষ। এই সাফল্য দেখার পর কলকাতার মধ্যে ধীরে ধীরে টালিগঞ্জ,গড়ফা, বেলেঘাটা সহ একাধিক জায়গায় এই ক্যান্টিন চালু হয়।
advertisement
এতদিন উত্তর কলকাতায় এই ধরনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রবিবার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোয়া বাগান এলাকায় সিপিএম চালু করল উত্তর কলকাতার প্রথম 'মানুষের রান্নাঘর'। প্রথম দিন ৭০০ জনের মত খাবার তৈরি করা হয়। এই কমিউনিটি কিচেনের বিশেষত্ব হল অন্যান্য কমিউনিটি কিচেন গুলোর মত খাবারের জন্য কোনও মূল্য দিতে হবে না। অর্থাৎ প্রথম দিনের মেনু ভাত মুরগির মাংস আর চাটনি ৭০০ জন খেয়েছেন। কলকাতা জেলা যুব কমিটির সদস্য সুমন রায় চৌধুরী বলেন, 'আমাদের অঞ্চলে বহু মানুষ রয়েছেন যারা টানা রিকশা চালান, ভ্যান চালান, মুটে মজুরের কাজ করেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ ভিন রাজ্যের। এক কথায় এদের পরিযায়ী শ্রমিক বলা যায়। লকডাউনের সময় এদের মধ্যে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন আবার অনেকের উপার্জন কমেছে। তাদের জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।' কিন্তু বিনা পয়সায় এত মানুষকে কি করে রোজ খাওয়ানো সম্ভব? সুমন বাবু বলেন, 'সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করি মানুষের সাহায্য আমরা পাব।'
Soujan Mondal