দীর্ঘদিন ধরে এমনই প্রশ্ন তুলে আসছে সিপিএম। এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে এই বিষয়টাকে রাজপথে নিয়ে আসতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ৫ অক্টোবর সিবিআই দফতর অভিযান করবে সিপিএম। দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের রাজ্য কমিটি। লোকসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতি ইস্যুকে ফের সামনে এনে লাগাতার আন্দোলন করতে চাইছে সিপিএম। তবে এবার তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও একই বন্ধনীতে রাখতে চাইছে দল।
advertisement
আরও পড়ুন: পরের গোলামি ছাড়ুন…! মাত্র ১০ হাজারে শুরু করুন নিজের ব্যবসা! বাড়ি বসেই আয় লাখ লাখ টাকা
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, “রাজ্যে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো প্রকাশ্যেই তাঁরা অনেকের নাম বলেছে। তাতেও কোনও লাভ হয়েছে? আরেকটায় তো অভিযুক্তদের ভিডিও দেখা গিয়েছে তাতে আবার কেউ কেউ শিবির বদল করেছে। বাকিগুলোও চলছে তো চলছেই। আসলে রাজ্যের শাসকদল ও কেন্দ্রের শাসকদল একই মুদ্রায় দুই পিঠ। আমদের পরিস্কার কথা দ্রুত তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের জেলে পুরতে হবে। না হলে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না। সেটা বুঝিয়ে দিতেই অভিযান।”
আরও পড়ুন: ৯৯.৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর! বলুন তো দেখি ‘রেলস্টেশন’-এর বাংলা কী?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, “জাতীয় রাজনীতিতে ইন্ডিয়া জোটে সিপিএমের পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদলও তৃণমূলও শরিক। তবে এরাজ্যের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা। এখানে তৃণমূলকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় সিপিএম। এখানে এক তরফা রাজ্যের শাসকদলের বিরোধিতা করলে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠবে।
আর শুধু বিজেপিকে লক্ষ্য করলে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারে তৃণমূল। তাতে সিপিএমের কোনও লাভ হবে না। এমনই মনে করছে নেতৃত্ব তাই আন্দোলনে ভারসাম্য রক্ষা করতেই এই রকম রণকৌশল নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।”
