এ বারে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়েছিল বামেরা। ব্রিগেডের সমাবেশেও আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমরা। রাজ্যজুড়ে যৌথ প্রচার কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা যায় মাত্র একটি আসন পেয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। নজিরবিহীনভাবেই বাম-কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছে বিধানসভা। সিপিএম একটিও আসন না পাওয়ায় কটাক্ষ করেছেন ঋতব্রত। তিনি বলেন, "বর্তমানে সিপিএম একদমই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। নেতৃত্বের একাংশ বিধায়ক হওয়ার জন্য নীতিহীন জোটে অংশ গ্রহন করেছিলেন। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
advertisement
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ই একটা সময় ছিলেন সিপিএমের পোস্টার বয়। তাঁকে সামনে রেখেই দলের তরূণ ব্রিগেড সাজাতে চেয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয় তাঁকে। সাংসদ নির্বাচিত দিল্লীতে পাঠানো হয়। এরপরে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করে দল। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। এরপর দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত। উত্তরবঙ্গে সংগঠনের কাজ করছিলেন। শনিবার রাজ্যের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পান তিনি।
UJJAL ROY