১৭ অক্টোবর দিনটিকে সিপিএম পালন করে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে। মঙ্গলবার রাজ্য সিপিএমের কর্মসূচিতে আলোচনার বিষয় ছিল, ‘কমিউনিস্ট ইস্তেহারের ১৭৫ বছর ও বর্তমান সময়।’ কলকাতার সেই কর্মসূচিতে মূল বক্তা বাংলা থেকে দূরেই থাকলেন। কী বললেন? বললেন, ইজরায়েল আর প্যালেস্তাইনের যুদ্ধ। দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে বললেন, সিপিএম হামাসের হানার পক্ষে নয়।
advertisement
কিন্তু ইজরায়েল যে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে তা নিন্দনীয়। হামাসের হামলা আর আমেরিকা ও অন্যান্য সহযোগী দেশগুলির পৃষ্ঠপোষকতায় ইজ়রায়েল যে ভাবে গাজাকে বছরের পর বছর ধরে খোলা জেলখানা বানিয়ে রেখেছে, সিপিএম তার বিরুদ্ধে। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জুড়ে দেখাতে চাইলেন সিপিএমের এই তাত্ত্বিক নেতা। বললেন, নেতানইয়াহু যেমন মেরুকরণ করতেই প্যালেস্তাইনকে নিশানা করে চলেছেন, এখানেও তেমন কিছু মানুষকে ‘টার্গেট’ করা হয়েছে। প্রবণতা একই। এদিন বিজেপি সম্পর্কে নব্য ফ্যাসিবাদ শব্দটি ব্যবহার করলেন কারাত।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে ভারতের পদক্ষেপ, গর্জে উঠলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ কারাটের বক্তব্য যে প্রশ্নটা দলের একাংশের মধ্যে উঠেছে তা হলো বাংলার রাজনীতি, সিপিএমের পরবর্তী রণকৌশল, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কেনও নিরব থাকলেন সিপিএমের এই পোড় খাওয়া নেতা? দলের এক সদস্যের কথায়, “ইন্ডিয়া জোট নিয়ে দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি রয়েছে। ইন্ডিয়া জোটে যেমন সিপিএম রয়েছে তেমনই রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কী ভাবনা চিন্তা করছ।
আরও পড়ুন: খানাকুলের এই মণ্ডপের থিম সাড়া ফেলল বাংলা জুড়ে, কী এমন থিম বানাল তাঁরা?
কেন্দ্রীয় কমিটি একটা ‘গাইডলাইন’ তৈরি করেছে বটে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। আর কয়েকমাস পরেই তো লোকসভা নির্বাচন। সেখানে দলের কী গতিমুখ হবে সেটাও এখনো স্পষ্ট নয়৷ কতোটা এগোতে হবে কতটা পিছিয়ে আসতে হবে সেই দিশাও দেখানো দরকার। একজন শীর্ষ নেতৃত্ব এসে সেটা স্পষ্ট করলে অনেকটাই সুবিধা হতো।” প্রকাশ কারাট ছাড়াও এখানে বক্তব্য দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম