সিপিএম-এর ভরাডুবির পরেই একাধিক মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় সরব হন তন্ময়বাবু। তিনি বলেন, এই ভোটটা ছিল মোদি বিরোধী ভোট। সে ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে বামজোটকে বিকল্প হিসেবে মেনে নেয়নি মানুষ। মানুষের প্রত্যাশা বোঝায় ফাঁকি থেকে গিয়েছে, মন্তব্য় করেন তন্ময়। আইএস-এফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকির নামের শুরুতে পীরজাদা শব্দের ব্যবহার ধর্মীয় মেরুকরণের পথ খোলা রেখেছে এমনটাও মন্তব্য করেন তন্ময়। মানুষের রায়কে সম্মান করার কথা বলেন তিনি। সেই সময়েই তড়িঘড়ি উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা কমিটি তাঁকে শো-কজ করে। প্রয়োজনে ব্য়বস্থা নেওয়া হতে পারে এমন ইঙ্গিতও ছিল।
advertisement
শনিবার ভোটপরবর্তী প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রসঙ্গটির অবতারণা হয়। দলের তরফে তন্ময়বাবুকে আগামী তিনমাস প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। সূত্রের খবর মুখ খোলার জন্য বাদানুবাদ হয় বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও।
তন্ময়কে চুপ করালেও, এই বৈঠকে সিপিএম-এর বহু নেতাই ভরাডুবির জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে আলিমুদ্দিনকে। কেন রাজ্যকমিটিতে আলোচনা না করেই আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করা হল, প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অধিকাংশ নেতাই মত দিয়েছেন, এতে দলের যে ধর্মনিরপেক্ষ ইমেজ তাতে দাগ লেগে গিয়েছে।
অর্থাৎ তন্ময়কে চুপ থাকতে বললেও অন্দরমহলে মুখ বন্ধ করা যাচ্ছে না বহু নেতার। প্রত্যেকেই মত দিচ্ছেন, এখন সময় আত্মসমালোচনার। তাহলে কি জোট ভাঙবে সিপিএম? সূত্রের খবর অসৌজন্য চায় না দল। অন্য জোটসঙ্গীরা জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলে আলাদা কথা।
