দলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি করার পিছনে প্রথম থেকেই পদক্ষেপ করেছিল বামপন্থীরা। আর যখন এই জোট দানা বাঁধছে, যখন বিজেপির কাছে এই জোট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তখন বামপন্থীদের যে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত বিরোধীদের কাছে অস্ত্র হয়ে দাঁড়াতে পারে। একই সঙ্গে ভুল বার্তা যেতে পারে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে।
advertisement
ওই নেতা জানান, সিপিআই মনে করে, এই মুহুর্তে বিজেপি দেশের সবচেয়ে বড় বিপদ। বিজেপিকে সরাতেই হবে। সেখানে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ দেখতে গেলে এই সরকার এই শাসকদলকে ধাক্কা দেওয়ার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে সেটা হাতছাড়া হয়ে যাবে। এক দায় বর্তাবে বামেদের উপরে। তাই এক দায়িত্বশীল দল কখনওই এর থেকে পিছিয়ে আসতে পারে না।
সেই কারণেই তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অলআউট’ লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘‘রাজ্যের শাসকদলের সাথে রাজ্যে লড়াই যেমন হচ্ছে তেমনই হবে। তবে জাতীয় স্তরে বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না। বামপন্থীরা শুধুমাত্র নির্বাচন ভিত্তিক রাজনীতি করে না। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। বিধানসভা লোকসভাতে না থাকলেও প্রয়োজনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষের কথা বলে। আর বর্তমানে কেন্দ্রে বিজেপির নেতৃত্বে যে সরকার চলছে তাতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। মেরুকরণের রাজনীতি করে দেশের ঐক্য বিনষ্ট করা হচ্ছে। বেকারি বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বামপন্থীদের সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে।’’
আরও পড়ুন:বাড়ির দরজাতেই ওষুধ পৌঁছে দিয়ে যাবে ড্রোন! ডেলিভারির নয়া জমানা শুরু নিউটাউনে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, সংগঠন ভাঙলেও জাতীয় রাজনীতিতে বামেদের গুরুত্ব রয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের সমন্ময় কমিটিতে সিপিএমের না থাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেই জায়গায় উল্টো অবস্থান নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ তকমা এড়াল সিপিআই৷